মুম্বই: ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১২ জন নবজাতক। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে সমসংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরও। বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা। তবে বেশিরভাগেরই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার সরকারি হাসপাতাল, শঙ্কররাও চভন হাসপাতালের ঘটনা। হাসপতালের ডিনের দাবি, ওষুধপত্র এবং কর্মীদের ব্যাপক ঘাটতির কারণেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪টি মৃত্যুর সাক্ষী হতে হয়েছে হাসপাতালকে।
ডিন বলেছেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জন শিশুপুত্র ও ছয় জন শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। বারোজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিও বিভিন্ন রোগের কারণে মারা গিয়েছেন। বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাই আমরা অসুবিধায় পড়ে গিয়েছি। আমদের হাসপাতালটি ছোট, কিন্তু, ৭০ থেকে ৮০-কিলোমিটারের মধ্যে এটাই একমাত্র চিকিৎসার জায়গা। তাই দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা আমাদের কাছে আসেন। কোনও কোনও দিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং আমাদের বাজেটের সমস্যায় পড়তে হয়। এটি একটি হাফকাইন ইনস্টিটিউট। আমাদের তাদের কাছ থেকে ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। আমরা স্থানীয় স্তরে ওষুধ কিনে রোগীদের দিয়েছি।”
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই, মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে সরকারকে আক্রমণ করেছে মহারাষ্ট্রের বিরোধীরা। ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকার, অর্থাৎ, বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পওয়ারের এনসিপি-কে এর দায় নিতে হবে বলে দাবি করেছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র বিকাশ লাওয়ান্ডে বলেছেন, “শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের ওষুধ সরবরাহের অভাবের কারণে নান্দেদের সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন সদ্যোজাত শিশু-সহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়নি। শুধু উৎসব ও অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেওয়া সরকারের জন্য এটা লজ্জার।”
সোমবার রাতে ওই হাসপাতালে যান কংগ্রেস নেতা অশোক চভন। তিনি বলেন, “ড. শঙ্কররাও চভন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাই আমি এখানে ডিনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং গুরুতর। এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা এবং অবিলম্বে সাহায্য পাঠানো উচিত সরকারের। আরও ৭০ জনেরও অবস্থা সংকটাপন্ন। অনেক নার্সকে বদলি করা হয়েছে, কিন্তু তাদের পরিবর্তে আর কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক, তাই প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্য ও সংস্থান দেওয়া উচিত সরকারের।”
মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।