জালাউন: নিজের ছোটো ছোটো দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন ২৫ বছর বয়সী সাবিয়া। এর মধ্যেই শনিবার ভোররাতে ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। এ আসাই তাঁর জীবনের শেষ বাপের বাড়ি আসা হবে তা বিন্দুমাত্র কল্পনাও করতে পারেননি সাবিয়া। ভোররাতে তখন দুই সন্তানকে নিয়ে মায়ের পাশে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর একজন গুরুতর আহত বলে জানা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশের ওরাই কোতওয়ালি পুলিশ স্টেশনের অধীনে লহড়িয়া পুরা এলাকার ঘটনা। এদিকে এই বিষয়ে পুলিশকে জানানোর আগেই তাঁদের কবর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইখানেই সন্দেহ বাসা বেঁধেছে পুলিশের মনে। তারপর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অনেকদিন পর বাপের বাড়ি এসেছিলেন ২৫ বছর বয়সী সাবিয়া। সঙ্গে এনেছিলেন ৩ বছরের ছেলে শাহরুখ ও ছয় মাসের মেয়েকেও। অনেকদিন পর মা নুরজাহানের (৫০ বছর) পাশে ঘুমোতে যান তিনি। সঙ্গে ছিল নিজের দুই সন্তানও। তারপর শনিবার ভোররাতেই ঘটে গেল অপ্রীতিকর ঘটনা। হাওয়ার দাপটে আজ ভোর ৪ টে নাগাদ ধসে পড়ে তাঁদের বাড়ির ছাদ। সঙ্গে সঙ্গে ভোরে অন্ধকারে তাঁদের জীবনেও আঁধার নেমে আসে।
গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওরাইতে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় সাবিয়া ও তাঁর দুই সন্তানের। তবে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরজাহান। ওরাইয়ের সার্কেল অফিসার গিরিজা শঙ্কর ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, পুলিশকে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে কিছু না জানিয়েই মৃতদের দেহ কবর দিয়েছে পরিবার। অন্য সূত্র থেকে তারা এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন বলেও তিনি জানান। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।