AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ওঁরাও বিচ্ছেদ বোঝে, কষ্ট পায়’, বন্ধুদের কবরের সামনে এসে রোজ চোখের জল ফেলছে হাতির পাল

Elephants: কয়েকদিন আগেই ওই কবরস্থলে হাজির হয় একদল হাতি। তারা শুঁড় তুলে, ধুলো উড়িয়ে, গর্জন করে। ড্রোন ক্যামেরায় গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে। এরপর দেখা যায়, প্রতিদিনই ওই হাতির পাল কবরস্থলে আসছে। কিছুক্ষণ থাকার পর তারা আবার জঙ্গলে ফিরে যায়।

'ওঁরাও বিচ্ছেদ বোঝে, কষ্ট পায়', বন্ধুদের কবরের সামনে এসে রোজ চোখের জল ফেলছে হাতির পাল
ফাইল চিত্র।Image Credit: PTI
| Updated on: Oct 31, 2024 | 8:12 PM
Share

রায়পুর: হয়তো মানুষের মতো কথা বলতে পারে না। তবে ওদেরও রয়েছে সব অনুভূতি। দুঃখ, কষ্ট ওদেরও হয়। তারই প্রমাণ দেখল বনকর্মীরা। সম্প্রতিই রায়গড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন হাতির। বন বিভাগের তরফে হাতিগুলির দেহ কবর দেওয়া হয়। খুঁজে খুঁজে সেই কবরস্থলেই হাজির হাতির পাল। শুঁড় তুলে, গর্জন করে তারা সঙ্গীদের মৃত্য়ুতে শোক প্রকাশ করতে এল।

গত ২৫ অক্টোবর রাতে ছত্তীসগঢ়ের রায়গড়ের জঙ্গল পারাপার করতে গিয়েই হাইটেনশন তারের সংস্পর্শে আসে তিনটি হাতি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পুরুষ, স্ত্রী ও হাতির শিশুর মৃত্যু হয়। পরেরদিন সকালে বন আধিকারিকরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান। জঙ্গলেই এক জায়গায় গর্ত খুঁড়ে হাতিগুলিকে কবর দেওয়া হয়।

কয়েকদিন আগেই ওই কবরস্থলে হাজির হয় একদল হাতি। তারা শুঁড় তুলে, ধুলো উড়িয়ে, গর্জন করে। ড্রোন ক্যামেরায় গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে। এরপর দেখা যায়, প্রতিদিনই ওই হাতির পাল কবরস্থলে আসছে। কিছুক্ষণ থাকার পর তারা আবার জঙ্গলে ফিরে যায়। গতকাল, বুধবার রাতেও ওই হাতির পাল এসেছিল বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিকরা।

এই বিষয়ে রায়গড় বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “হাতি খুবই সংবেদনশীল প্রাণী। তারা প্রায়সময়ই এমন করে। তাদের কোনও বন্ধু মারা গেলে তারা সমবেদনা জানাতে বেশ কয়েকদিন কবরস্থানে যায়।”

এদিকে, হাতি মৃত্যুর ঘটনায় রায়গড় বন বিভাগের ডিএফও-কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। কর্তব্য়ে গাফিলতির জন্য বন বিভাগের এক কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ডেপুটি রেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বিলাসপুরের সিসিএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।