Digital arrest: ‘হ্যালো, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম থেকে বলছি’, ফোন পেয়েই সর্বস্বান্ত বৃদ্ধা
Digital arrest: বিভিন্ন দফতরের অফিসার পরিচয়ে বৃদ্ধাকে ফোন করা হয়। তাঁকে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হয়। ভিডিয়ো কল করা হয়। ভুয়ো গ্রেফতারি পরোয়ানা ও তদন্ত রিপোর্ট তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়।
মুম্বই: ফোনটা এসেছিল দিল্লি স্পেশাল পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের নাম করে। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের নাম শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন বছর আটাত্তরের বৃদ্ধা। তারপর কয়েক দিনে সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেন তিনি। তাঁকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকরা। ঘটনাটি দক্ষিণ মুম্বইয়ের।
ওই বৃদ্ধা মুম্বইয়ে এক রিয়েল এস্টেস ব্যবসায়ীর বোন। দিল্লি স্পেশাল পুলিশের SIT-র নাম করে কিছুদিন আগে একটি ফোন পান তিনি। বলা হয়, তাঁরা একটি পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছেন। যার মধ্যে ড্রাগ রয়েছে। এবং ২ হাজার মার্কিন ডলার রয়েছে। একথা শুনে ভয় পেয়ে যান বৃদ্ধা। কারণ, গত ৫ ডিসেম্বর আমেরিকায় বসবাসকারী কন্যাকে তিনি কিছু খাবার পাঠিয়েছিলেন।
পরদিন ক্যুরিয়র কোম্পানির কর্মচারী পরিচয়ে অমিত কুমার নামে এক ব্যক্তি ফোন করেন বৃদ্ধাকে। বলেন, ক্যুরিয়রে বৃদ্ধার পাসপোর্ট, মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। এবং তাতে ড্রাগ ও ২ হাজার মার্কিন ডলার রয়েছে। তখনই তাঁকে জানানো হয়, আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে।
এই খবরটিও পড়ুন
এরপর বিভিন্ন দফতরের অফিসার পরিচয়ে বৃদ্ধাকে ফোন করা হয়। তাঁকে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হয়। ভিডিয়ো কল করা হয়। ভুয়ো গ্রেফতারি পরোয়ানা ও তদন্ত রিপোর্ট তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়।
বৃদ্ধাকে তাঁর ব্যাঙ্কের তথ্য দিতে বাধ্য করা হয়। তারপর কয়েকদিনে বৃদ্ধা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১.১৫ কোটি টাকা প্রতারকদের দেওয়া অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। বৃদ্ধাকে বলা হয়েছিল, তদন্তের সময় তাঁর সম্পত্তির সুরক্ষা জন্য টাকাটা প্রয়োজন।
এতকিছুর পরও বৃদ্ধা বুঝতে পারেননি, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। সম্প্রতি, এক আত্মীয়র সঙ্গে আলোচনার সময় ঘটনাটি বলেন। তখন জানতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার। এরপরই সাইবার ক্রাইম পুলিশ হেল্পলাইনে ফোন করেন। মুম্বই পুলিশের দক্ষিণ সাইবার সেল তাঁর অভিযোগের তদন্তে নামে। এক আধিকারিক জানান, বৃদ্ধা টাকা ট্রান্সফারের পর তা অনেক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে প্রতারকরা।
দিনদিন সাইবার প্রতারণা বাড়ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেছেন, ডিজিটাল গ্রেফতার বলে কিছু হয় না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও প্রচার করা হচ্ছে।