Timeline of Farm Laws & Farmers Protest: ১ বছরের টানাপোড়েনের পর প্রত্যাহার কৃষি আইন, কোন পথে এগিয়েছিল আন্দোলন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 19, 2021 | 3:04 PM

How Farmers Protest Started: আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল পঞ্জাবে, আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশেই। গত বছরের ২৫ নভেম্বর কেবল পঞ্জাব থেকেই ২ লক্ষ কৃষক সহ মোট ৩ লক্ষ কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে "দিল্লি চলো" আন্দোলনের ডাক দেয়।

Timeline of Farm Laws & Farmers Protest: ১ বছরের টানাপোড়েনের পর প্রত্যাহার কৃষি আইন, কোন পথে এগিয়েছিল আন্দোলন?
এবার রাজনৈতিক পথে লড়াইয়ে কৃষক সংগঠনগুলির একাংশ। ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: আয়ু মাত্র এক বছর! কৃষক আন্দোলন(Farmers Protest)-র বর্ষপূর্তির আগেই যে তিন কৃষি আইন (Farm Laws) ঘিরে বিতর্ক, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গুরুনানকের প্রকাশ পূরব তিথিতেই দেশবাসীকে জানালেন শীতকালীন অধিবেশন(Winter Session of Parliament)-এই এই আইন প্রত্যাহারের কাজ শেষ করা হবে।

এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রচেষ্টা চালালেও কৃষি আইন নিয়ে একটি অংশের কৃষকদের বোঝাতে পারেনি। হয়তো আমাদের প্রচেষ্টাতেই কোনও খামতি রয়ে গিয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের। এর সাংবিধানিক প্রক্রিয়া আসন্ন সংসদীয় অধিবেশনে সম্পন্ন করা হবে।”

যে কৃষি আইন নিয়ে এত বিতর্ক, এত আন্দোলন, বিগত এক বছরের তা কী কী মোড় নিল, দেখে নেওয়া যাক একনজরে-

৫ জুন, ২০২০:  কেন্দ্রের তরফে তিন কৃষি বিলের প্রস্তাব দেওয়া হল। এই তিন বিলে কৃষিপণ্যের ব্যবসায়িক দিক, অত্যাবশ্যক পণ্য ও কৃষিজাত পণ্যের মূল্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০:  লোকসভায় পাস হল অর্ডিন্য়ান্স।

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০: ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে রাজ্য় সভাতেও পাস হল এই বিল।

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০: কৃষি বিল আইনে রূপান্তরিত হতেই তিনদিনের “রেল রোকো” আন্দোলনের ডাক কৃষকদের।

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০: রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই তিন কৃষি বিলে স্বাক্ষর করেন। সাংবিধানিকভাবে বৈধ হল এই তিন আইন।

২৫ নভেম্বর, ২০২০: আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল পঞ্জাবে, আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশেই। কেবল পঞ্জাব থেকেই ২ লক্ষ কৃষক সহ মোট ৩ লক্ষ কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে “দিল্লি চলো” আন্দোলনের ডাক দিল। পরিকল্পনা ছিল ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রাজধানীর বুকে আন্দোলন করা। দিল্লির পথেই জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের মুখে পড়তে হল কৃষকদের।

২৮ নভেম্বর, ২০২০: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কৃষকদের আন্দোলন থামানোর আবেদন জানালেন এবং মুখোমুখি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু কৃষকরা সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে দিল্লির জন্তর মন্তরে আন্দোলন করার দাবি জানাল।

৩ ডিসেম্বর, ২০২০:  কেন্দ্রের সঙ্গে প্রথম দফা আলোচনায় বসল কৃষক সংগঠন। যদিও বৈঠকে কোনও রফাসূত্র মিলল না।

৫ ডিসেম্বর, ২০২০: দ্বিতীয়বারের জন্য মুখোমুখি হল কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষক পক্ষ। এবারের আলোচনাও ব্যর্থই হল।

৮ ডিসেম্বর, ২০২০: ভারত বনধের ডাক কৃষকদের।

৯ ডিসেম্বর, ২০২০: কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠন। আইন প্রত্যাহার না হওয়া অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কৃষকদের।

১১ ডিসেম্বর, ২০২০: কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাল ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন।

২১ ডিসেম্বর, ২০২০: একদিনের জন্য অনশনে বসল কৃষকরা।

৭ জানুয়ারি, ২০২১:  কৃষি আইন ও তার বিরোধিতায় কৃষক আন্দোলন নিয়ে আর্জি শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট।

১১ জানুয়ারি, ২০২১: কৃষক আন্দোলন সামাল দিতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শীর্ষ আদালতের। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীনে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হল।

২৬ জানুয়ারি, ২০২১: প্রজাতন্ত্র দিবসে শান্তিপূর্ণভাবে ট্রাক্টর মিছিল করার অনুমতি মিললেও মিছিল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সংঘর্ষে রূপ নিল। আন্দোলনকারীদের একটি অংশ লালকেল্লায় ভাঙচুর চালায় এবং জাতীয় পতাকা নামিয়ে নিশান সাহিবের পতাকা (শিখ ধর্মীয় পতাকা) উত্তোলন করে।

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১: আন্তর্জাতিক স্তরেও পৌঁছল কৃষক আন্দোলন। মার্কিন পপ গায়িকা রিহানা কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করলেন। এরপর পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও টুইট করে। গ্রেটার টুইটে দেশবিরোধী ও অপরাধমূলক চক্রান্তের অভিযোগ এনে দিল্লি  পুলিশের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল।

৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১: লালকেল্লায় ভাঙচুর ও কৃষকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল পঞ্জাবী অভিনেতা দীপ সিধুকে।

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১: গ্রেটা থুনবার্গের শেয়ার করা টুলকিট শেয়ার করে ব্যাঙ্গালোর থেকে গ্রেফতার করা হল দিশা রবি।

৫ মার্চ, ২০২১: পঞ্জাব বিধানয়ভায় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাবনা পাস করা হল।

২১ মে, ২০২১: সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়ে ফের একবার কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার অনুরোধ জানানো হল।

২৭ মে, ২০২১: কৃষক আন্দোলনের ৬ মাস পূর্তিতে দেশজুড়ে কালা দিবস পালন করল কৃষকরা।

জুলাই, ২০২১: বাদল অধিবেশন শুরু হতেই দিল্লির জন্তরমন্তরে ২০০ জন আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিনিধি কিসান সংসদের আয়োজন করল। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল হল সংসদও।

২৮ অগস্ট, ২০২১: হরিয়ানার কর্নলে কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিশি লাঠি চার্জ ঘিরে বিতর্ক।

৩ অক্টোবর, ২০২১:  উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন গাড়ির ধাক্কায় চার কৃষকের মৃত্যু। পরে সংঘর্ষ ছড়ালে এক সাংবাদিক সহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলের দিকে।

২২ অক্টোবর, ২০২১: আন্দোলনের অধিকার থাকলেও দীর্ঘ সময় ধরে পথ অবরোধ করে আন্দোলন চালাতে পারে না কৃষকরা, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।

১৯ নভেম্বর, ২০২১: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।

আরও পড়ুন: Centre’s Decision on Farm Laws: কৃষি আইন কেন প্রত্যাহার করল সরকার? 

Next Article