শ্রীনগর: রাতভর গুলির শব্দে কাঁপল শ্রীনগর(Srinagar)। বছর শেষ হওয়ার আগে আরও একবার জঙ্গি দমন অভিযানে (Anti-Terror Operation) বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী (Security Forces)। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু কাশ্মীর(Jammu Kashmir)-র শ্রীনগরে একটি এনকাউন্টার (Encounter) অভিযানে খতম করা হয়েছে তিন জঙ্গিকে। গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন তিনজন পুলিশকর্মী ও একজন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানও।
চলতি মাসের শুরুতেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। ওই ঘটনায় তিন পুলিশকর্মীর মৃত্যু ও ১১ জন আহত হয়েছিলেন। সেই সময় তাদের ধরা সম্ভব না হলেও, গতকাল রাতের এনকাউন্টারে ওই হামলার অন্যতম এক চক্রীকে নিকেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকালের এনকাউন্টারে যে তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বাকি দুইজনের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের বাইরে অবস্থিত পান্থাচকের গোমান্দের মহল্লায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করতে গিয়েছিল পুলিশের দল। ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করতেই ভিতর থেকে গুলি চলতে শুরু করে। গুলিতে আহত হন দুই পুলিশকর্মী।
এরপরই এলাকায় উপস্থিত সিআরপিএফ বাহিনীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়। প্রাথমিক গুলির লড়াইয়ে আরও একজন পুলিশ কর্মী ও এক সিআরপিএফ জওয়ান আহত হন। তাদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপরও দীর্ঘক্ষণ ধরে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে নিরাপত্তা বাহিনীর। শেষ অবধি তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গিরা জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এখনওব অবধি একজন জঙ্গির পরিচয়ই জানা গিয়েছে। ওই জঙ্গির নাম সুহেল আহমেদ রাথের। সংঘর্ষস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। চলতি মাসে পুলিশ বাসে হামলার অন্যতম চক্রী ছিল সুহেল, এমনটাই সূত্রের দাবি।
গত ৩৬ ঘণ্টায় এই নিয়ে তিনটি এনকাউন্টার হল উপত্যকায়। এর আগে বুধবার বিকেলেও জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও কুলগামে এনকাউন্টার অভিযান চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এনকাউন্টারে দুই পাকিস্তানি নাগরিক সহ মোট ৬ জঙ্গির মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় এখনও অবধি জানা গিয়েছে। বাকি দুইজনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিদের সকলেই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য। তারা জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিল। মূলত উপত্যকায় জঙ্গি হানা পরিচালনা ও যুব সম্প্রদায়কে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ানোর কাজই করত ওই জঙ্গিরা।