বুদগ্রাম: বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উপত্যকা। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আক্রমণে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকরাও প্রাণ হারিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গি সংগঠন ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে লাগাতার কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জঙ্গি দমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার, কাশ্মীরের বুদগ্রামের জোলওয়া ক্রালপোরা চাদুরা এলাকায় ৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। শুক্রবার কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার এমনটাই জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গিদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গিদের সনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে এবং তাঁরা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সেটা জানার চেষ্টাও চলছে। কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নতুন বছরের শুরুতেই জঙ্গি দমন অভিযানে একের পর এক সাফল্য মিলছে নিরাপত্তা বাহিনীর। সোমবার, জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার এর শীর্ষ কমান্ডর সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। শ্রীনগররের শালিমার গার্ডেনের নিকট ৩০ বছর বয়সী লস্কর কমান্ডার সালিম প্যারায়কে খতম করেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছিল, ওই জওয়ান বন্দিপোরা জেলার হাজিনের বাসিন্দা। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল,বন্দিপোরাতে দুই পুলিশকর্মীকে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত এই জঙ্গি। এরপরই সেখান থেকে তিনি শ্রীনগরের হারওয়ান এলাকাতে চলে আসেন।
বুধবারও জঙ্গি দমন অভিযানে আসে বড়সড় সাফল্য। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গি বুধবার নিকেশ করে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুধবার সকালেই গোপন সূত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খবর আসে যে পুলওয়ামার চান্দগাম এলাকায় বেশ কিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। এরপরই ভোরবেলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় গুলির লড়াই।
আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা, দুয়ারে পাঁচ রাজ্যের ভোট! চিকিৎসকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক নির্বাচন কমিশনের