শ্রীনগর : সাত সকালে সেনা অভিযানে নিকেশ তিন জঙ্গি। শুক্রবার সকালে কাশ্মীরে (Kasmhir) দুটি পৃথক জায়গায় অভিযানে নেমেছিল সেনাবাহিনী (Indian Army)। কুলগাম ও শ্রীনরে সেই অভিযানে মোট তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই চলছিল সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। জানা গিয়েছে, আমির রিয়াজ নামে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, সে মুজাহিদীন গাজওয়াতুল হিন্দ নামে এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আমির রিয়াজ নামে ওই জঙ্গি লেথপোরা সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। অন্যদিকে কুলগাম এনকাউন্টারে আরও দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন হিজবুল মুজাহিদীনের জেলা কমান্ডার শিরাজ মোলভি। আর এক মৃত জঙ্গির নাম ইওয়ার ভাট। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শিরাজ মোলভি কাশ্মীরে একাধিক হত্যার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
সম্প্রতি একের পর এক জঙ্গি হানায় ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর পরিস্থিতি। জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয় সাধারণ মানুষের। বারবার জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই আক্রমণ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যেই কাশ্মীরে ৫ হাজার ৫০০ জন জওয়ানের দল পাঠাচ্ছে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, চলতি বছরে কাশ্মীরে ১৩৮ জন জঙ্গিকে খতম করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পাশাপাশি ৫৫ জন জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
বছরের শুরু থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় ৭০০ জনকে মোতায়েন করেছিল নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। এরপর থেকে কাশ্মীরে জঙ্গিদের আস্ফালন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই গত মাসেই ২৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে সিআরপিএফ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক সিআরপিএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, “কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিকদের ওপর আক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সিআরপিএফের পাঁচটি অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা ভাবা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই কাশ্মীরে এই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এর আগে কাশ্মীরে ২৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন : এক দিনে আক্রান্ত ৫০ হাজার, করোনা কি এবার আরও ভয়ঙ্কর!