Amarnath Yatra: ব্যর্থ অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ষড়যন্ত্র, গভীর রাতের অভিযানে ‘বিরাট সাফল্য’ নিরাপত্তা বাহিনীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 14, 2022 | 2:10 PM

Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান থেকে পাঠানো হয়েছিল ৩ জঙ্গিকে। সোমবার (১৩ জুন) গভীর রাতে শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল তাদের।

Amarnath Yatra: ব্যর্থ অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ষড়যন্ত্র, গভীর রাতের অভিযানে বিরাট সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর
প্রতীকী ছবি

Follow Us

শ্রীনগর: ব্যর্থ হল অমরনাথ যাত্রায় নাশকতা ঘটানোর ষড়যন্ত্র। সোমবার (১৩ জুন) গভীর রাতে শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৩ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির। তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং অপরজন স্থানীয় বলে জানিয়েছে কাশ্মীর জ়োন পুলিশ। এদের তিনজনকেই অতি সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে। আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এই বার্ষিক তীর্থযাত্রা। তার আগে উপত্যকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, তারমধ্যেই বেছে বেছে অমুসলিম এবং পরিযায়ী কর্মীদের হত্যা চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েথে নিরাপত্তা বাহিনীর। সেইদিক থেকে এই অভিযানের সাফল্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এদিনের অভিযানের এক পুলিশকর্মী সামান্য আহত হয়েছেন।

কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্টভাবে অমরনাথ যাত্রায় হামলা চালানোর জন্যই ওই তিন সন্ত্রাসবাদীকে পাকিস্তান থেকে পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে দুইজন ছিল পাকিস্তানি নাগরিক। তৃতীয় জনের নাম আদিল হুসেন মির। তার আসল বাড়ি পহলগাম জেলার অনন্তনাগে। তবে, ২০১৮ সাল থেকেই সে পাকিস্তানে ছিল। বাসিন্দা। তবে, কাশ্মীরি স্থানীয় হলেও, ২০১৮ সাল থেকে সেও পাকিস্তানে ছিল। কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার স্পষ্ট বলেছেন, ‘অমরনাথ যাত্রায় আক্রমণ করার উদ্দেশ্যেই পাকিস্তানি হ্যান্ডলাররা ওই সন্ত্রাসবাদীদের পাঠিয়েছিল। তবে, এখন তারা তিনজনই নিহত হয়েছে।’ এই অভিযানকে তিনি ‘বড় সাফল্য’ বলে দাবি করেছেন।

দুই পাক জঙ্গির একজনকেও শনাক্ত করতে পেরেছে বাহিনী। কাশ্মীর জ়োন পুলিশ জানিয়েছে, সে পাকিস্তানের ফয়জলাবাদের বাসিন্দা। বস্তুত, এর আগেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ওই দুই পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীর সংঘর্ষ হয়েছিল। পুলিশের দাবি, সোপোরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও হয়েছিল। তবে, সেই সময় তারা সেখান থেকে পালাতে পেরেছিল। তখন থেকেই তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার রাতে গোপন সূত্র থেকে নির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় এক বাড়িতে তাদের ঘিরে ফেলেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সংঘর্ষের পর নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে দুটি একে-৪৭ রাইফেল, ১০ টি ম্যাগাজিন, বেশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি, ওয়াই-এসএমএস ডিভাইস এবং আরও বেশ কিছু জিনিস যা নাশকতার কাজে লাগানো যেত।

চলতি মাসের শুরুতেই, অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রস্তুতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, ভারতীয় গুপ্তচর বাহিনী রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং-এর প্রধান, সেনার শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর, গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও, এই বিষয়ে রাজভবনে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেন। বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছিলেন তিনি।

 

Next Article