বেঙ্গালুরু : একই কলেজে একই সঙ্গে একাধিক পড়ুয়া আক্রান্ত হলেন করোনায়। কর্নাটকের কোলারে একটি মেডিকেল কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে। গত চারদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ওই কলেজের অন্তত ৩০ জন পড়ুয়া। ওই ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
কর্নাটকের কোলারে শ্রীদেবরাজ ইউআরএস মেডিকেল কলেজের ১১৬০ জন পড়ুয়া ও কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে আর কেউ এখনও করোনা আক্রান্ত হননি, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়েছে।
কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই একাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে। এর মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সার্বিকভাবে করোনার পজিটিভিটি রেট কর্নাটকে ০.৩৪ শতাংশ। এই মুহূর্তে কর্নাটকে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭২৫১। ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও ধরনের পার্টি বা জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে রাজ্যগুলিতে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে, সেগুলি হল কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, মিজোরাম, কর্নাটক, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাব। এর মধ্য়ে মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের মতো রাজ্য়গুলিতে ক্রমশ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে আগামী বছরের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।
ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ পার করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবার কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষজ্ঞের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যে রাজ্যগুলিতে করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং টিকাকরণের গতি ধীর, এমন ১০টি রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে।
দেশের নিরিখে সর্বোচ্চ ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে দিল্লি ও মহারাষ্ট্র থেকেই। আপাতত সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮। এরপরই রয়েছে দিল্লি, সেখানে ৭৯ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাটেও বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩।
এ দিকে, বাংলায় বাড়ছে ওমিক্রনের বিপদ। রাজ্যে কোভিডের নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬। শুক্রবার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে আরও দু’জনের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, বাংলায় আসছে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের দল। আগামী তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই সেই কেন্দ্রীয় দল এসে বাংলায় পৌঁছবে। তাঁরা খোঁজ নেবে সংক্রমণের হার রাজ্যে কী রকম। টিকা ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে কি না, কোভিডের জন্য দেশজুড়ে যে বিধিনিষেধ চলছে তা যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কি না। রাজ্যে ঘুরে সমস্ত তথ্য আদায় করে তা কেন্দ্রের কাছে পেশ করবে প্রতিনিধি দলগুলি।
আরও পড়ুন : Bangladesh Ferry Fire: আগুন থেকে বাঁচতে মেয়েকে বুকে আঁকড়েই সাঁতার কাটছিল বাবা, হাত ফস্কে কখন যে…!