Maoist Surrender: কমান্ডরদের হারিয়ে ‘মরচে ধরেছে’ সংগঠনে, একযোগে আত্মসমর্পণ ৩৭ মাওবাদীর
Maoist Surrender in Chhattisgarh: সপ্তাহ পেরতে পারেনি। তার আগেই চিঠিতে দেওয়া প্রতিশ্রতি পূরণ করল মাওবাদীরা। রবিবার ছত্তীসগঢ়ে একযোগে আত্মসমর্পণ করল ৩৭ জন মাওবাদী। দন্তেওয়াড়া জেলায় সিআরপিএফ এবং পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন তাঁরা। যাঁদের মধ্য়ে ১২ জন মহিলাও রয়েছেন।

নয়াদিল্লি: সংগঠনে যে মরচে ধরেছে, তা অনেক আগেই স্পষ্ট হয়েছে। ধীরে ধীরে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে মাওবাদীরা। কমান্ডরদের হারিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ থেকে সরে আসছে তাঁরা। সম্প্রতি অভিযান বন্ধ রাখার জন্য তিন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিল মাওবাদীদের মহারাষ্ট্র-ছত্তীসগঢ়-মধ্যপ্রদেশ স্পেশাল জ়োনাল কমিটির নেতৃত্ব।
সপ্তাহ পেরতে পারেনি। তার আগেই চিঠিতে দেওয়া প্রতিশ্রতি পূরণ করল মাওবাদীরা। রবিবার ছত্তীসগঢ়ে একযোগে আত্মসমর্পণ করল ৩৭ জন মাওবাদী। দন্তেওয়াড়া জেলায় সিআরপিএফ এবং পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন তাঁরা। যাঁদের মধ্য়ে ১২ জন মহিলাও রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এঁদের সকলের মাথার দাম প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
এদিন দন্তেওয়াড়া জেলার পুলিশ সুপার গৌরব রাই জানিয়েছেন, ‘পুনা মার্গেম কর্মসূচির আওতায় আত্মসমর্পণ করেছেন এই মাওবাদীরা। এই অভিযান সশস্ত্র নয়, বরং শান্তি বার্তার মাধ্যমে মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ করে থাকে। রবিবার আত্মসমর্পণকারীদের জন্যও সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে।’
গত দু’বছরে এই ‘পুনা মার্গেম’ কর্মসূচির মাধ্যমে শুধুমাত্র ছত্তীসগঢ়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ৫০৮ জন মাওবাদী। যাঁদের মধ্য়ে ১৬৫ জনকে হন্যি হয়ে খুঁজছিল পুলিশ-প্রশাসন। আপাতত এঁদের প্রত্যেককেই পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি পুলিশ সুপারের। রবিবার আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে মোট ২৭ জন মাওবাদীর মাথার দাম নির্ধারণ করেছিল প্রশাসন। অর্থাৎ নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে এরা ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। যাদের মধ্য়ে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি নাম হল, কুমালি ওরফে অনিতা মাণ্ডবী, গীতা ওরফে লক্ষ্মী মড়কম, রঞ্জন ওরফে সোমা মাণ্ডবী এবং ভীম ওরফে জাহাজ কালমু। এই চার জনের মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্য়ে দেশকে মাওবাদ মুক্ত করার লক্ষ্য়মাত্রা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সূত্র ধরেই মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়ে দিনভর চলছে অভিযান। খতম করা হয়েছে মাওবাদী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডদেরও। তারপর থেকে ভিত নড়ে গিয়েছে গোটা সংগঠনের। আত্মসমর্পণের দিকেই ঝুঁকেছে নীচু স্তরের মাওবাদীরা।
