নয়া দিল্লি: গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে পেগাসাস। ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কেন্দ্রের পাল্টা প্রশ্ন, এত দিন পর বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগেই কেন সামনে আনা হল এই ধরনের অভিযোগ। ২০১৯-এ এই আড়িপাতার ঘটনা ঘটেছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তাই এই অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন তৎকালীন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলানো রবি শঙ্কর প্রসাদ। তাঁর দাবি, বিশ্বের ৪৫টিরও বেশি দেশ পেগাসাস ব্যবহার করে, তাহলে কেন নিশানা রাখা হচ্ছে শুধু ভারতকেই।
সোমবার পেগাসাস বিতর্ক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পেগাসাসের নির্মাতা এনএসও জানিয়েছে যে বিশ্বের পাশ্চাত্য দেশগুলিই মূলত তাদের গ্রাহক। তাহলে ভারতকে কেন নিশানা করা হচ্ছে? এর পিছনে গল্পটা ঠিক কি?’ তাঁর প্রশ্ন বাদল অধিবেশনের আগে এই ধরনের খবর সামনে এনে কি অন্য কোনও বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে বিরোধীরা?’
প্রাক্তন এই মন্ত্রী সাফ জানান, ‘এই ধরনের অভিযোগের পিছনে কোনও প্রমাণ নেই। পেগাসাসের পুরো গল্পটার সঙ্গে ভারতের কোনও সম্পর্ক নেই। ২০১৯-এও হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছিল, ভারতের বেশ কয়েকজন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর চ্যাটে নজরদারি চালানো হয়েছে পেগাসাসে মাধ্যমে। ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই অভিযোগ বলে মন্তব্য করেছে রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষায় বিশ্বাসী।’
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়ার’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মমতার ভোট কুশলী হিসেবে নিযুক্ত প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও আড়ি পাতার চেষ্টা হয়েছিল। এমনকি বাদ যাননি সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল নম্বরও। বিরোধীদের রণকৌশল জানতেই আড়ি পাতার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
গতকালই লোকসভায় এই ইস্যুতে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই এই অভিযোগ সামনে আসার বিষয়টাকে মোটেই কাকতালীয় বলে মনে করছেন না মন্ত্রী। একই সুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেন, ‘ক্রোনোলজি টা বোঝা দরকার’। আরও পড়ুন: ‘আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে…’, পেগাসাস বিতর্কের পিছনে কাদের মাথা? ব্যাখ্যা দিলেন শাহ