AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

UP Transgenders: নেড়া করে মুখে প্রস্রাব, মাঝ রাস্তায় পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার চেষ্টা হিজড়া দুষ্কৃতীদের!

Uttar Pradesh Transgenders: রফিকুলের আরও অভিযোগ, এরপর তাঁকেও নপুংসকে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল ওই হিজড়ারা। তাঁকে চেপে ধরে তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে দিতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু, সেই সময় তিনি প্রবল চেঁচামেচি করতে শুরু করেন।

UP Transgenders: নেড়া করে মুখে প্রস্রাব, মাঝ রাস্তায় পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার চেষ্টা হিজড়া দুষ্কৃতীদের!
রফিকুলের মাথা কামিয়ে দেয় হিজড়া দুষ্কৃতীরা Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2023 | 12:48 PM
Share

লখনউ: রাস্তার মাঝে চেপে ধরল হিজড়া সম্প্রদায়ের পাঁচ জন। মাথা কামিয়ে তাঁর গায়ে প্রস্রাব করে দিল তৃতীয় লিঙ্গের দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, তাঁকে প্রস্রাব পান করতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর, তাঁর পুরুষাঙ্গও কেটে দিতে যাচ্ছিল হিজড়া দৃষ্কৃতীদের দল। সেই সময় পুরো বিষয়টি নজরে আসে পাশের মাঠে কাজ করা কিছু ব্যক্তির। তাঁরাই দৌড়ে এসে হিজড়াদের কবল থেকে মুক্ত করে ওই ব্যক্তিকে। অদ্ভুত এক ঘটনার খবর এল উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জ জেলা থেকে। হিজড়া দৃষ্কতীদের দলটি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ টাকাও লুঠ করেছে বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তির মাথা কামিয়ে দেওয়া এবং তাঁকে প্রস্রাব পান করানোর একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হিজড়া সম্প্রদায়ের পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, হিজড়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা গিয়েছে নির্যাতিত ব্যক্তির নাম ওয়াদি রফিকুল। তিনি পেশায় রাঁধুনি। কাসগঞ্জের ইমামবকশ এলাকায় হিজড়াদের দুটি প্রধান গোষ্ঠী আছে। তারই এক গোষ্ঠীর নেতার বাড়িতে কাজ করেন তিনি। রফিকুলের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি কাজ সেরে কাসগঞ্জ থেকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে, জোহরি ইটের ভাটার কাছে বিরোধী গোষ্ঠীর হিজড়ারা তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। তারপর শুরু হয় নির্যাতন। প্রথমে তাঁর মাথা জলে ভিজিয়ে, তাঁর সব চুল কামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর হিজড়া দৃষ্কৃতীদের একজন তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয়। সে অঝোরে কাঁদলেও তারা তাঁকে ছাড়েনি। তার কাছে ১০০০ টাকা মতো নগদ ছিল। সেই নগদ অর্থও কেড়ে নেওয়া হয়।

রফিকুলের আরও অভিযোগ, এরপর তাঁকেও নপুংসকে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল ওই হিজড়ারা। তাঁকে চেপে ধরে তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে দিতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু, সেই সময় তিনি প্রবল চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। হই-হট্টগোল শুনে পাশের ক্ষেত্রে চাষের কাজে ব্যস্ত মানুষ সেখানে ছুটে এসেছিলেন। তাঁরাই হিজড়াদের হাত থেকে উদ্ধার করেন রফিকুলকে। সাহাওয়ার থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন রফিকুল। তাঁর অভিযোগ পেয়ে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেছ পুলিশ। অমানবিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায় জড়িত হিজড়া সম্প্রদায়ের পাঁচজনকে।