নয়া দিল্লি: স্থিতিশীল রয়েছে দেশের সংক্রমণ। করোনা গ্রাফে রয়েছে স্বস্তি। অনেকটাই কমের দিকে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এই করোনা চিত্র নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কোনও রকম ঢিলেমি দিতে নরাজ দেশের প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা। যে সব রাজ্যে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ এখনও বাড়ছে, সেই সব রাজ্যকে সতর্ক করে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে কয়েকটি রাজ্যের একাধিক জেলাকেও চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। ২৭টি জেলাকে আলাদাভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৮৪ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৫ হাজার ৭৮৪ জন। যা গতকালের তুলনায় এক হাজার বেশি। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ২৪৭ জন।
একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা একটুন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩১ জন। মোট ৮৭ হাজার ৫৬২ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। এদিকে,দেশে ৮ হাজার ১৬৮ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩১ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে আক্রান্তের নীরিখে এখনও দেশের দক্ষিণের দেশগুলিই এগিয়ে। তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে কেরল। সেখানে একদিনে ৩ হাজার ৩৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের। দ্বিতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৬৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ২৪ জনের। আগের তুলানয় যেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে। তৃতীয়স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২০ জন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কারোর মৃত্যু হয়নি। অন্যদিকে, দিল্লিতে ৪৫ জনের শরীরে করোনার হদিশ মিলেছে।
এই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫৫২ জন। একদিনে মৃত্যু গয়েছে ১০ জনের। যদিও গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে সংক্রমণ, তবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বেড়েছে এ দিন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল জন। সোমবারও করোনার বলি হন ১০ জন।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশ ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ভারতে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনার (Coronavirus) নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের সূত্রপাত হলেও ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে পৌঁছে গিয়েছে সেই আতঙ্ক। একে একে ৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। অনেকেই ইতিমধ্যে করোনামুক্তও হয়েছে।