নয়া দিল্লি: বাজেটে বঞ্চনা নিয়ে সরব বিরোধীরা। অভিযোগ, জোটসঙ্গীদের মন রাখতেই এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। সরকারের এই বাজেট নিয়ে ক্ষোভ থেকেই নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কি ভোট মিটতেই জোটে ফাটল?
বাজেট পেশের পরেরদিনই জানা গিয়েছিল, বরাদ্দে বঞ্চনার প্রতিবাদে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করতে চলেছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি ও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। পরে ইন্ডিয়া জোটের সদস্য আরও ৩ মুখ্যমন্ত্রী, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও এই বৈঠকে যোগ দেবেন না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জেলে থাকায়, তিনিও এই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না।
তবে যেখানে ইন্ডিয়া জোটের বাকি মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করছেন, সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আজ দিল্লি গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
এদিন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি যেহেতু আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কথা দিয়েছিলাম, তাই যাব। তবে এদের যা আচরণ, বাজেটে বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে। বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে। আমাদের ৭ দিন আগে লিখিত স্পিচ পাঠাতে বলেছিল। এরপর বাজেট পেশ হয়। কিন্তু বাজেটে (বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে) বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে, আমরা তা মানতে পারছি না। আমি যা জানি, হেমন্তও (ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী) যাচ্ছে, ও ওর রাজ্যের হয়ে কথা বলবে। আমরা বিরোধী রাজ্যগুলির হয়ে কথা বলব, দাবি জানাব।”
তবে এখনও ইন্ডিয়া জোট চাইছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেন। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন, “বাজেটে ইন্ডিয়া জোটের অধিকাংশ রাজ্যের সঙ্গে সরকার অন্যায়, অবিচার করেছে। বিভাজন করেছে। আমি এখনও আশা করছি, মমতাজি এই বৈঠকে যোগ দেবেন না।“