পুঞ্চ: জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের মান্ধার এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টে নাগাদ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস জওয়ানদের গাড়িতে আগুন লাগে। যার জেরে পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল দুর্ঘটনার জেরে আগুন ধরেছিল সেনা জওয়ানদের গাড়িতে। কিন্তু পরে সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, নাশকতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গিরা এই নাশকতা ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠন এই হামলার পিছনে রয়েছে। এমনকি সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হামলার পিছনে অন্তত সাত জন জঙ্গি রয়েছেন। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের জেরেই সেনার গাড়িতে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দেওয়া হয়েছে।
সেনার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেনা জওয়ানদের গাড়ি ভীমবের গলি থেকে সানগিয়ের দিকে আসছিল। ভীমবের থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ঘটে এই ঘটনা। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা ট্রাকটিকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি চালায় এবং তারপর গ্রেনেড ছোড়ে। সে সময় ওই এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। এর জেরে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সুযোগ জঙ্গিরা কাজে লাগায়। ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে সেনার গাড়ি আসার অপেক্ষা জঙ্গিরা করছিল বলে জানা গিয়েছে। সেনার গাড়ি আসতেই প্রথমে গুলি চালায়। তার পর গ্রেনেড ছোড়া হয়। এর জেরেই আগুন লাগে সেনার গাড়িতে। দৃশ্যমানতার কম থাকার সুযোগে দেখা যায়নি জঙ্গিদের। এবং তারা পালিয়েও গিয়েছে। কমপক্ষে সাত জন লস্কর জঙ্গি লুকিয়ে থেকে হামলা চালিয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।
গ্রেনেড হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন হাবিলদার মন্দীপ সিং, ল্যান্স নায়েক দেবাশীষ বাসওয়াল, ল্যান্স নায়েক কুলবন্ত সিং, সিপাই হরকিষাণ সিং ও সিপাই সেবক সিং। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক জওয়ান। তাঁকে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।