লাহুল: খারাপ আবহাওয়ার কারণে হিমাচলে (Himachal Pradesh) আটকে ৮০ জন। বৃহস্পতিবার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আচমকাই আবহাওয়া খারাপ হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেই হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি (Lahaul-Spiti)-তে পর্যটক সহ ৮০ জন আটকে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লাহুল-স্পিতির বাতাল নামক একটি জায়গায় সকলে আটক রয়েছেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে গোটা অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে পিডব্লুডির একটি রেস্ট হাউসেই সকলকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চাচা-চাচী কা ধাবা নামক স্থানীয় একটি হোটেলেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পরিমাণ তুষারপাতের জন্য ছোট গাড়ির যাতায়াত সম্ভব না হলেও শুক্রবারই প্রশাসনের তরফে আট আসনের বড় গাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বরফ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার হলেই পর্যটকদের সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জানা গিয়েছে, গত ১৭ অক্টোবর ১১ জনের পর্যটকের একটি দল চন্দ্রতালে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছনোর পরই আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে গ্রাম্ফু-কাজ়া হাইওয়েটি বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা সেখানেই আটকে পড়েন। বিগত কয়েকদিন ধরে পরিবার-আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে না পেরে গতকালই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখনই জানা যায়, তুষারপাতের কারণে ওই অঞ্চলে ৮০ জন আটকে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবারই জেলা প্রশাসনের তরফে একটি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠালেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ মেলেনি। লাহুল-স্পিতি থেকে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হলে তারা জানতে পারেন বাতালের কাছে পর্যটক সহ ৮০জন আটকে রয়েছেন। আটকে থাকা পর্যটকদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১৬ জন পর্যটক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাকিরা দিল্লি, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দা।
ডিসি নীরজ কুমারও গতকাল বলেন, “খারাপ আবহাওয়ার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। সেই কারণেই এতদিন পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সমস্ত পর্যটকরাই সুরক্ষিত রয়েছেন। তারা বাতালের একটি ধাবা ও পিডব্লুডির রেস্ট হাউসে রয়েছেন। আগামিকালের মধ্যে উদ্ধারকার্য শুরু করা হবে। সেনাবাহিনী, বিআরও এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সাহায্য করবে। আগামিকালের মধ্যেই গ্রাম্ফু-কাজ়া হাইওয়ে দিয়ে ফের গাড়ি চলাচল শুরু করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।”