তিরুবনন্তপুরম: সপ্তাহের শুরুতেও ভারী বৃষ্টিতে ভেসেছে “ভগবানের রাজ্য” কেরল। অতিবৃষ্টির জেরে যে হড়পা বান ও ভূমিধস নেমেছিল, তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২-এ। এরইমাঝে ফের বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার থেকেই কেরলের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। বিপদের আশঙ্কায় প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগের নিম্নচাপ কেটে গেলেও তার রেশ কিছুটা রয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে বর্ষার বিদায়কালেও যে বৃষ্টি হয়, তা চলছে। এই দুই মিলিয়েই ফের গতকাল থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে কেরল জুড়ে। পাথানামিত্তা, কোট্টায়াম, ইদ্দুকি, পালাক্কাড, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, ওয়োনাড ও কন্নুরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে আগামী দু-তিনদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম, আলাপ্পুজ়া, এর্নাকুলাম, ত্রিশূর ও কাসারাগড়ে। আজ সারাদিন ধরে এই জেবাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে আপাতত মৎসজীবীদের সমুদেরে যেতে বারণ করা হয়েছে। কেরলের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়ার সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেরলে গত ১৫ অক্টোবর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। একটানা অতি বৃষ্টির জেরে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন। সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোট্টায়াম এবং ইদুক্কি জেলায়। ভূমিধসের কারণে ভেঙে গিয়েছে একাধিক বাড়ি, ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ।
এদিকে, বৃষ্টি থামতেই ইদ্দুকি, পাম্বা, কাক্কি ও ইদামালায়ার নামক চারটি বাঁধ থেকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এই বাঁধগুলির আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং বন্যার আশঙ্কায় অনত্র স্থানান্তরিত হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Uttarakhand: বৃষ্টি থামতেই এবার বরফের কামড়, প্রতিকূল আবহাওয়াতেও দেবভূমিতে চলছে উদ্ধারকার্য