
নয়া দিল্লি: রাজধানীর ওমিক্রন (Omicron cases in Delhi) পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হতে শুরু করেছে। ওমিক্রন সন্দেহে যে করোনা আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genome Sequencing) করা হয়েছে, তার মধ্যে ৮৪ শতাংশেরই রিপোর্টে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন (Delhi Health Minister Satyendar Jain)।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যতগুলি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ৮৪ শতাংশই ওমিক্রন পজিটিভ। আর এই তথ্য স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ফেলেছে দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরকে।
উল্লেখ্য ভারতে এখনও পর্যন্ত ২৩ টি রাজ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। তার মধ্যে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৫১০ জনের শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দিল্লিতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫১।
তবে দিল্লিবাসীকে আশ্বস্ত করে সত্যেন্দর জৈন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশাসন সম্পূর্ণ তৈরি। কোনও সরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকগুলিতে চিকিৎসা সামগ্রীর কোনও অভাব নেই।
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ।
দিল্লি বিধানসভায় সত্যেন্দর জৈন জানিয়েছেন, “দিল্লির তিনটি ল্যাবরেটরি যেখানে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয় – ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বাইলিয়ারি সায়েন্সেস, লোক নায়ক হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ এবং ৩১ তারিখের মধ্যে এই তিনটি ল্যাবরেটরিগুলিতে যে নমুনাগুলির জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে, তার মধ্যে ৮৪ শতাংশ নমুনাই ওমিক্রন আক্রান্ত।”
রবিবার রাজধানীতে ৩ হাজার ১৯৪ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যা ছিল শনিবারের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন বলেন, “যদিও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কারণ, গুরুতর আক্রান্ত খুব বেশি কেউ হচ্ছেন না বা হাসপাতালে ভর্তিরও সেভাবে প্রয়োজন হচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭৫ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলায়, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০০-এ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে ৬৩৯ জন এখনও অবধি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্য়ের নিরিখে সর্বাধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে মহারাষ্ট্র থেকেই, সেখানে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫১০। এরপরই রয়েছে দিল্লি, সেখানে ৩৫১ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কেরল (১৫৬), গুজরাট (১৩৬), তামিলনাড়ু (১২১), রাজস্থান (১২০)-এও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৮৪৬ জন। এই নিয়ে দেশে এখনও অবধি মোট ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪০৭ জন করোনাকে হার মানিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮২। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ হাজার ৭৮১।