‘উনি মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফের মতো আচরণ করতে পারেন না’, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ কেন্দ্রের

আইএএস (IAS) পদের অমর্যাদা করেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandopadhyay), এমনটাই দাবি কেন্দ্রের একটি সূত্রের।

'উনি মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফের মতো আচরণ করতে পারেন না', আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ কেন্দ্রের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 02, 2021 | 10:28 PM

নয়া দিল্লি: ২৮ মে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মমতার (Mamata Banerjee) অনুপস্থিতি শুধু রাজ্যে নয়, জাতীয় রাজনীতির উত্তাপ বাড়িয়েছে। মমতার আচরণ ঠিক ছিল কি না তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র, তারই মধ্যে কোপ পড়েছে রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandopadhyay) ওপরেও। চাপান-উতোরের মাঝে মুখ্য সচিব পদ ছেড়েছেন দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই আমলা। শোকজ’ও করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সে দিন মোদীর বৈঠকে না থেকে আলাপন যে আইএএস অফিসার পদের অমর্যাদা করেছেন, সেই দাবি এ বার সামনে আনল কেন্দ্র। কেন্দ্রের একটি সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বৈঠকে না থেকে মোটেই সঠিক আচরণ করেননি আলাপন।

ওই সূত্রের দাবি, ‘একজন মুখ্যসচিব কখনই মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফ হিসেবে কাজ করতে পারেন না। তিনি যতই সিনিয়র হোন, তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর নয়।’ পরবর্তীকালে আলাপনকে অনুসরণ করে অন্য কোনও মুখ্য সচিব এ ভাবে বৈঠক এড়িয়ে গেলে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ভেঙে পড়বে বলেও দাবি করা হয়েছে। আলাপনের আচরণ দেশের আইএএস পদের সম্মানে আঘাত করেছে বলেও দাবি কেন্দ্রের।

সরকারি ওই সূত্রের প্রশ্ন, ‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আচরণ কি ঠিক ছিল? রাজ্যের একজন অভিজ্ঞ অফিসারের কি ওই ব্যবহার করা উচিৎ হয়েছে?’ অবসরের পর মমতার কাছ থেকে কোনও পুরষ্কার মিলবে বলেই আলাপন মমতাকে তোয়াজ করে চলছিলেন? এমন প্রশ্নও সামনে এসেছে। উল্লেখ্য, মুখ্য সচিব পদে অবসর নেওয়ার পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। আর তাতেও সমালোচনা পিছু ছাড়েনি তাঁর।

আরও পড়ুন: অভিষেক ফিরতেই মুকুল-জায়াকে দেখতে হাসপাতালে দিলীপ, আগে এলেন না কেন? দিলেন ব্যাখ্যাও

গত ২৮ মে সাইক্লোন ইয়াস পরবর্তী পর্যালোচনায় কলাইকুন্ডায় একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াই সেই বৈঠকে আসার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। আর তা শুনেই বেঁকে বসেন মমতা। কলাইকুন্ডায় গেলেও বৈঠকে যোগ দেননি তিনি। মোদীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়ে চলে যান দিঘায়। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিঘা উড়ে যান। এরপরই শুরু হয় নতুন সংঘাত। কেন্দ্রের অফিসার হয়েও আলাপনের এই আচরণ মেনে নেয়নি কেন্দ্র। চিঠি দিয়ে দিল্লি ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। ঘটনার পরই মুখ্য সচিব পদ থেকে অব্যাহতি চান তিনি। এরই মধ্যে কেন্দ্র একটি শোকজের চিঠি পাঠিয়েছে তাঁকে। কেন সে দিন উপস্থিত থাকলেন না, সেই জবাব দিতে হবে আলাপনকে। এখনই পর্যন্ত জবাব দেননি তিনি।