Aftab Poonawala: হাতে তরোয়াল, আফতাবের পুলিশ ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ; বন্দুক উঁচিয়ে ধরল পুলিশও
Delhi Police: একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য শূন্যে গুলিও চালিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ওই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নয়া দিল্লি: শ্রদ্ধা-খুনে (Shraddha Walker Murder) অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালাকে (Aftab Poonawala) সোমবার রোহিনীর ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পলিগ্রাফ টেস্টের (Polygraph Test) জন্য। আর সেখান থেকে ফেরার পথেই কিছু মানুষ হামলা চালায় পুলিশের ভ্যানে। যে গাড়িতে করে আফতাবকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই গাড়িটির উপর তলোয়ার হাতে চড়াও হন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বাইরেরই। তারা তলোয়ার উঁচিয়ে এগোতেই পুলিশও পাল্টা পদক্ষেপ করে। গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরাও তাদের প্রতিহত করতে বন্দুক উঁচিয়ে ধরেন। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য শূন্যে গুলিও চালিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ওই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দিল্লিতে।
ঘটনাটি ঘটেছে সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়িটিকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং হামলাকারীদের আটক করে তাঁদের অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে শ্রদ্ধা-খুনের তদন্তে ক্রমেই জাল গোটাতে শুরু করেছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সোমবার দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করেছে। পুলিশের সন্দেহ, শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ টুকরো টুকরো করার জন্য সেগুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। পাশাপাশি শ্রদ্ধার একটি আংটি, যেটি শ্রদ্ধাকে খুনের পর অন্য এক মহিলাকে ফ্ল্যাটে ডেকে আফতাব উপহার দিয়েছিল, সেটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে বছর সাতাশের শ্রদ্ধাকে আফতাব খুন করেছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠছে, আফতাব প্রথমে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তারপর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিল। প্রায় তিন সপ্তাহ ফ্রিজের মধ্যে শ্রদ্ধার দেহাংশ ফেলে রাখার পর দিল্লির শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সেই দেহাংশগুলি ফেলে দিয়েছিল। হাড়হিম করা সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।