Indian Army: ১,০০০ একর জমির উপর তৈরি বিরাট ‘প্রজেক্ট’ ভারতীয় সেনার, সত্যি জানলে কালঘাম ছুটে যাবে শত্রুদের
Indian Air Force: এয়ার-টু-এয়ার রিফিউয়েলিংয়েরও যাবতীয় ব্যবস্থা থাকছে এখানে। লো-অল্টিটিউডে ঢুকে র্যাডার ও প্যাসিভ সেন্সর ফাঁকি দিয়ে টার্গেট আঘাত করাও খুবই সহজ এই পরিসর থেকে। অর্থাৎ গোপনে ঢুকে দ্রুত আঘাত এবং নিরাপদে ফিরে আসা সম্ভব হবে।

নয়া দিল্লি: মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে হতে চলেছে এক বিশাল কর্মকাণ্ড। এক ধাক্কাতেই আরও ক্ষমতা বাড়বে ভারতীয় সেনার। এখানেই হতে চলেছে দেশের সবথেকে থেকে বড় বায়ুসেনা ঘাঁটি। এমনভাবে গোটা পরিকল্পনা বাস্তবের রূপ নিচ্ছে যে চোখ তুলে তাকালেই এখান থেকেই সহজে ও অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে শত্রুদের উপর আঘাত হানা যাবে। সোজা কথায়, ১,০০০ একর জমির উপর তৈরি এই গোটা এয়ারবেসকে আদপে সমস্ত অত্য়াধুনিক সুবিধা যুক্ত স্ট্রাইক হাব হিসাবে গড়ে তোলারই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর অবস্থান, একে নিয়ে যে কৌশলগত পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে তাতেই তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
এর ভৌগলিক অবস্থান এমনই যে এখান থেকে পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর—তিন দিকেই দ্রুত বিমানের মোতায়েন সম্ভব। এমনকি এরটি সাবধানে আঘাতের পরিকল্পনা করা হলে শত্রু শিবিরের স্যাটেলাইট ট্র্য়ারিং ও নজরদারি থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান সহজেই রক্ষা পাবে। এমনকী গোপনীয়তাও পুরোদমে রক্ষা করা যায়। ফলে শত্রু শিবির যদি কাউন্টার স্ট্রাইকের পরিকল্পনাও করে তাহলে তাতে জল অচিরেই পড়বে।
এয়ার-টু-এয়ার রিফিউয়েলিংয়েরও যাবতীয় ব্যবস্থা থাকছে এখানে। লো-অল্টিটিউডে ঢুকে র্যাডার ও প্যাসিভ সেন্সর ফাঁকি দিয়ে টার্গেট আঘাত করাও খুবই সহজ এই পরিসর থেকে। অর্থাৎ গোপনে ঢুকে দ্রুত আঘাত এবং নিরাপদে ফিরে আসা সম্ভব হবে। থাকছে লম্বা রানওয়ে, আধুনিক জ্বালানি সাপোর্ট, রিফিউয়েলিং স্ট্যান্ড, হ্যাঙ্গার ও উন্নত এয়ার-ডিফেন্সস-হ পূর্ণাঙ্গ অপারেশনাল সিস্টেম। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, খাজুরাহো প্রোজেক্টটি বাস্তবায়িত হলে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যাবে। একইসঙ্গে যে কোনও অপারেশন হবে আরও গতিময়। রক্ষা করা যাবে গোপনীয়তা। একইসঙ্গে আক্রমণের ক্ষমতা, সম্মুখ-সমরে শত্রুকে পাল্টা আক্রমণের ক্ষমতাও অনেকটাই বেড়ে যাবে।
