২০২৪ সালের নির্বাচনী ঘোষণার পর আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে। যদি পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু কেজরীকে গ্রেফতারির সহানুভূতির প্রতিফলন হল না আপের ভোট বাক্সে। দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট এবং অসমে মোট ২২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। কিন্তু আপ জিতেছে মাত্র তিনটি আসনে। পঞ্জাবেরই তিনটি আসন থেকে জিতেছেন আপ প্রার্থীরা। দিল্লি-সহ বাকি সমস্ত রাজ্যে তাদের ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
‘কাম কি রাজনীতি’র কথা বার বার শোনা গিয়েছে আপের নেতাদের বিশেষত অরবিন্দ কেজরীবালের গলায়। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গেলেও কংগ্রেস ও আপের মধ্যে আসন রফা হয়নি। পরস্পরের বিরুদ্ধেই লড়াই করেছে তাঁরা। কিন্তু একা লড়তে গিয়ে আপে যে বিশেষ সুবিধা করতে পারল না ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তা ফল প্রকাশের পরই পরিষ্কার।
পঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে উঠে এসেছে কংগ্রেস। ৭টি আসন জিতেছে তাঁরা। আপ জিতেছে তিনটি আসনে। ১টি আসনে জিতেছে শিরোমণি আকালি দল এবং এক জন নির্দল প্রার্থী জিতেছেন সেখানে। বিজেপি অবশ্য দাঁত ফোটাতে পারেনি পঞ্জাবে। হরিয়ানাতেও বিজেপির ভোট গতবারের তুলনায় কমেছে। সেখানে বিজেপি ও কংগ্রেস উভয়ই ৫টি করে আসন জিতেছে।
দিল্লির ৭টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। কিন্তু একটি আসনেও তারা জেতেনি। ২০১৯ সালের মতো ২০২৪ সালেও রাজধানীর ৭টি আসনেই জিতেছে পদ্মশিবির। বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট লড়াইয়ে বিরোধী গোষ্ঠী ভালো অবস্থানে হলেও প্রত্যাশার ধারে কাছে পৌঁছতে পারল না কেজরীর দল।