মেহসানা: চলতি বছরের শেষেই হাই-প্রোফাইল গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Assembly Election)। নির্বাচনের আগেই বিরোধী শিবিরকে জোর ধাক্কা দিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। ভোটের আগে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party)। বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সোমবার গুজরাটের মেহসানা জেলায় সুবিশাল রোড শো করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সর্বোচ্চ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। সোমবারের রোড শো থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরীবালের দাবি, বিজেপির একমাত্র ওষুধ আম আদমি পার্টি। আপ শীর্ষনেতা এদিন বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলতে মানুষ ভয় পাচ্ছে। মানুষ যদি বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে, তবে তাদের মারধর করা হয় অথবা হুমকি দেওয়া হয়। ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই, গুজরাটে বদল আসন্ন।”
দিল্লির পর সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারিয়ে পঞ্জাবের মসনদ দখল করেছে আম আদমি পার্টি। পঞ্জাব জয়ের পর আপ তথা অরবিন্দ কেজরীবালের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। একের পর এক রাজ্যে দলের বিস্তার ঘটানোর চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছেন না কেজরি। পশ্চিমের এই রাজ্যে দীর্ঘ সফরের পর কেজরীবাল বলেন, ‘বিজেপির একমাত্র প্রতিষেধক আম আদমি পার্টি।’ সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরের বর্তমানে পরিস্থিতি এবং একের পর এক খুনের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশান করেন কেজরীবাল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গলায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে চিন্তার সুর শোনা গিয়েছিল। তিনি বলেন, “কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে যা ঘটছে সেটা ঠিক নয়। বিগত ৩০ বছরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দু’বার অন্য জায়গায় চলে যেতে হয়েছে, এবং আশ্চর্যজনকভাবে দু’বারই বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। সরকারের কাছে আমার আবেদন, যে কোনও মূল্য তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।”
প্রসঙ্গত রবিবারও কাশ্মীর ইস্যুতে কেজরীবালের গলায় একই সুর শোনা গিয়েছিল। কেন্দ্রকে নিশানা করে তিনি জানিয়েছিলেন, জম্মু কাশ্মীরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করা হচ্ছে এবং সেই কারণে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। কেজরীবালের দাবি, “কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে বিজেপি ব্যর্থ।” উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত কাশ্মীর। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের একের পর এক নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা ঘিরে উপত্যকা এখন সরগরম। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র এখন কী পদক্ষেপ করে, সেটাই দেখার।