পিছনের গেট দিয়ে ইডি দফতরে ঢুকলেন অভিষেক

ইডি দফতরে প্রবেশ করার আগে তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলেন তৃণমূল সাংসদ।

পিছনের গেট দিয়ে ইডি দফতরে ঢুকলেন অভিষেক
সোমবার ইডি দফতরে অভিষেক (ছবি- এএনআই)

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 06, 2021 | 11:43 AM

নয়া দিল্লি: নির্ধারিত সময়েই দিল্লির এনসফোর্মেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে পৌছে গেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন দিল্লির জামনগরে ইডির সদর দফতরে পিছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে তলব করা হয়েছে ইডি দফতরে। করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন রুজিরা। তবে আজ, সকাল ১১ টা নাগাদ হাজিরা দিতে গেলেন অভিষেক।

রবিবারই বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলে গিয়েছেন, ‘আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগানোর প্রয়োজন নেই। ১০ পয়সার দুর্নীতিও যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। আমি মৃত্যুবরণ করতে রাজি।’ আর আজ ইডি দফতরে প্রবেশ করার আগে অভিষেক জানালেন, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে তদন্ত করছে। একজন নাগরিক হিসেবে আমি সহযোগিতা করব।’ এ দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে প্রবেশ করার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘আমাকে ৬ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। আমিযে কোনও রকমের তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তদন্তকারী সংস্থা তাদের কাজ করছে, একজন নাগরিক হিসেবে আমি তাদের সহযোগিতা করব।’

১ সেপ্টেম্বর অভিষেক-পত্নী রুজিরা নারুলাকেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি রুজিরা। কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন রুজিরা। কিন্তু অভিষেক সে পথে হাঁটেন নি। ররিবারই তিনি দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। রবিবার বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরেই তিনি বলেছেন, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা পাঁচ মিনিটের জন্যও যদি আমার সঙ্গে বসেন, তাহলে গত পাঁচ বছরে কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা কীভাবে কাজ করেছে আমি সব দেখিয়ে দেবো। আর তা যদি প্রমাণ করতে না পারি তো রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’

এর আগে কয়লাকাণ্ডে খোদ অভিষেকের বাসভবনে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করার আগের মুহূর্তে তাঁর অভিষেক-জায়ার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির পর আবার নিজাম প্যালেসে তিনি ধরনা দেন বলেও অভিযোগ। ফলে উভয় ক্ষেত্রেই সিবিআই মনে করছে, প্রভাবশালী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রভাব খাটাচ্ছেন। ঠিক এই কারণেই অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী-কে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অনেকের মতে, নারদকাণ্ডে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পর যে ধরনের বিক্ষোভ নিজাম প্যালেসের বাইরের এলাকা জুড়ে চলেছিল, তারপর আর কোনও মামলায় এ রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতা-মন্ত্রীকে কলকাতায় বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে না কোনও তদন্তকারী সংস্থা। আরও পড়ুন: জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে বাচ্চার, চিকিৎসকের পা ধরে মায়ের কান্না ‘আমার ছেলেটাকে একটু দেখুন’