নয়া দিল্লি: জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্ব এবার পেয়েছে ভারত। দেশের বিভিন্ন শহরে আয়োজন করা হচ্ছে জি-২০র বৈঠকের। কেরলের কুমারাকমে আয়োজন করা হয়েছিল জি-২০ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের। ৯ দেশ থেকে জি-২০-র ১৫০ জন প্রতিনিধি ও সদস্যরা এবং বিভিন্ন সরকারি-আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য়রা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। জি-২০ র বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল।
জি-২০-র তরফে আয়োজিত প্রথম অনু্ষ্ঠানের থিম ছিল “অ্য়াক্সেলেরাটিং প্রসেস অন এসডিজিস উইথ ডেটা ফর ডেভেলপমেন্ট “। এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জি-২০র যুগ্ম সচিব নাগারাজ নাইডু কাকানুর। তিনি বলেন, সময়োপযোগী, নির্ভরযোগ্য এবং সকলের কাছে উপলব্ধ ডেটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অর্থপূর্ণ নীতি প্রণয়ন জন্য অত্য়ন্ত জরুরি। উন্নয়নের আসল প্রভাব জানার জন্য সমস্ত দেশকে মিলিতভাবে তথ্য বা ডেটা সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলেও তিনি জানান। একইসঙ্গে তথ্যের অপব্য়বহার রোখা ও সামাজিক লক্ষ্যে ডেটা সাহায্য দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা।
নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন বেরি, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক গ্রুপের চিফ ইকোনমিস্ট ইন্দরমীত গিলও এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তাঁরাও উন্নয়নে ডেটার ব্যবহার এবং তথ্যের অপব্যবহার রোখার উপরেই জোর দেন। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন বেরি জানান, তথ্য় থেকে সুবিধা পাওয়া প্রয়োজনীয়, তবে এটা পর্যাপ্ত নয়। তথ্যকে ডিজিটাল ইন্টেলিজেন্সে রূপান্তরিত করা জনসাধারণের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যথাযথ তথ্যের অভাব জটিলতার সৃষ্টি করে। এর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বক্তব্য় রাখেন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার ডঃ লরা কাইরন ও অর্থ মন্ত্রকের একাধিক প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের আলোচ্য পর্ব ছিল “নিড ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর ডি৪ডি”। এই অনুষ্ঠানে বড় বড় শহরগুলিতে খরচ সাপেক্ষ ও লো-কার্বন ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যববহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও জনসংখ্যার জন্য় এই পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেই উল্লেখ করা হয়।