New President Election: ক্ষমতা জুগিয়েছে নির্বাচনের ফলই, নতুন রাষ্ট্রপতির খোঁজে বিজেপি নেতৃত্ব
New President Election: সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। তবে রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরানো হবে নাকি তাঁকেই দ্বিতীয়বারের জন্য পুনর্বহাল করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব।
নয়া দিল্লি: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকেই নজর ছিল গোটা দেশের। গত বৃহস্পতিবার ফলপ্রকাশ হতেই দেখা যায়, পঞ্জাব বাদে বাকি চার রাজ্যেই উঠেছে গেরুয়া ঝড়। আর এই দারুণ ফলই আগামিদিনের নির্বাচনগুলির জন্য আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে বিজেপিকে। রাজ্যসভাতেও একদিকে যেমন ক্ষমতাবৃদ্ধি হচ্ছে, তেমনই নতুন রাষ্ট্রপতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেই শাসক দলের মতামতের পাল্লাই ভারী হতে চলেছে।
উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিপুল ভোটে জয় আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ৩১ মার্চই এই নির্বাচন হতে চলেছে। অন্যদিকে, আগামী জুলাই মাসেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হতে চলেছে। উল্লেখ্য, দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে হয়। মোট ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০৩টি ভোট ক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যেক সাংসদের ভোট ক্ষমতা ৭০৮। অন্যদিকে, বিধায়কদের ক্ষেত্রে রাজ্যভিত্তিক ভোটের গুরুত্ব পরিবর্তিত হয়। উত্তর প্রদেশের বিধায়কদের ভোটের মূল্যই সবথেকে বেশি, ২০৮। এবারের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৭০টিরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ায়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাদের মতামতই সবথেকে বেশি গুরুত্ব রাখবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। তবে রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরানো হবে নাকি তাঁকেই দ্বিতীয়বারের জন্য পুনর্বহাল করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। এখনও অবধি কেবল দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ চোলেই পরপর দুবার রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বদের আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জোটসদস্যদের মতামতও গ্রহণ করা হতে পারে, এমনটাই সূত্রের খবর। ওয়াইআরএস কংগ্রেস ও নবীন পট্টনায়েকের বিজেডির সঙ্গেও কথা বলা হতে পারে। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকে বিরোধিতা করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।