Delhi Murder Case: ফ্রিজে বান্ধবীর দেহ, সেই রুমেই নতুন গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রেম চালাচ্ছিল আফতাব! চাঞ্চল্যকর তথ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Nov 15, 2022 | 1:17 PM

Shraddha Murder Case: পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইলে ডেটিং অ্যাপ ইনস্টল করে তাঁর মাধ্যমে নতুন এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আফতাবের এবং তাঁর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল সে।

Delhi Murder Case: ফ্রিজে বান্ধবীর দেহ, সেই রুমেই নতুন গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রেম চালাচ্ছিল আফতাব! চাঞ্চল্যকর তথ্য
ছবি: গ্রাফিক্স অভিজিৎ বিশ্বাস

Follow Us

নয়া দিল্লি: গতকালই দিল্লিতে এক নৃশংস খুনের পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ। আফতাব পুনাওয়ালা নামের ২৮ বছর বয়সী এক তরুণ তাঁর লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকর নামের এক তরুণীকে খুন এবং তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে স্থানীয় জঙ্গলে পুঁতে ফেলেছিল। এই ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহাবশেষ রেফ্রিজেটরে রেখে সংরক্ষণের পাশাপাশি অন্য আরেক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আফতাব। শুধু তাই নয় যে বাড়ির রেফ্রিজেটরে শ্রদ্ধার দেহের অংশ সংরক্ষিত ছিল, নিজের প্রেমিকাকে সেই বাড়িতে এনেও তাঁর সঙ্গে সময় কাটিয়েছে আফতাব।

পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইলে ডেটিং অ্যাপ ইনস্টল করে তাঁর মাধ্যমে নতুন এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আফতাবের এবং তাঁর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল সে। যে ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, সেখানেই প্রতিনিয়ত নতুন বান্ধবীর সঙ্গে সাক্ষাত করত আফতাব, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২ বছর আগে ডেটিং অ্যাপ মারফত শ্রদ্ধার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আফতাবের। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে শ্রদ্ধার মৃতদেহ ফ্রিজে থাকাকালীন জুন ও জুলাই মাসে একাধিকবার আফতাবের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তাঁর বান্ধবী। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার মাথা এবং তাঁর ধড় অগস্ট মাস অবধি আফতাবের ফ্রিজেই ছিল।

পুলিশের দাবি ১৮ মে, সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়ায় শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল আফতাব। শ্রদ্ধা ও আফতাব দুজনেই মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাসাইয়ের বাসিন্দা। এই বছরই দিল্লিতে থাকতে শুরু করেছিল তাঁরা। মে মাস থেকে ছাতারপুরে এই ফ্ল্যাটেই থাকত এই যুগল। সোমবার শ্রদ্ধাকে খুনের অপরাধে আফতাবকে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৮ নভেম্বর মেহরোলি থানাতে শ্রদ্ধার বাবার দায়ের করা এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে পুলিশ। দু’মাস মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরেই দিল্লি এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রদ্ধার বাবা।

Next Article