India-Pakistan Love Story: সীমার পর এবার অঞ্জু, প্রেমের টানে ফেসবুকের ‘বন্ধু’র সঙ্গে দেখা করতে স্বামীকে মিথ্যা বলে পাকিস্তান গেলেন যুবতী
India-Pakistan: অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ জানান, বিদেশে চাকরির আবেদনের জন্য ২০২০ সালে পাসপোর্ট তৈরি করেছিল অঞ্জু। স্ত্রী যে কয়েক মাস আগে ফেসবুকে আলাপ হওয়া এক যুবকের প্রেমে পড়েছে, সে কথাও জানতেন তিনি। তবুও তাঁর আশা, স্ত্রী তাঁর কাছেই ফিরে আসবে।
জয়পুর: প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন সীমা হায়দার (Seema Haider)। তাঁকে নিয়েই এখন গোটা দেশ তোলপাড়। সত্যিই ভালবাসার টানে নাকি গুপ্তচরবৃত্তি করতে ভারতে এসেছেন সীমা, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ভারতেও। সীমার মতোই প্রেমের টানে সীমান্ত পার করলেন আরেক যুবতী। তবে এবার পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে (India) নয়, বরং ভারত থেকে পাকিস্তানে গেলেন এক যুবতী। জানা গিয়েছে, সীমা হায়দারের মতোই রাজস্থানের অঞ্জুও প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সীমান্ত পার করেছেন।
পাকিস্তানি সীমা হায়দারের সঙ্গে রাজস্থানের অঞ্জুর আবার বিস্তর মিলও রয়েছে। জানা গিয়েছে, সীমার মতো অঞ্জুও বিবাহিত। সীমা হায়দারের যেমন চার সন্তান রয়েছে, তেমনই অঞ্জুর দুই সন্তান রয়েছে। পাবজি খেলতে গিয়ে যেমন সচিনের প্রেমে পড়েছিলেন সীমা, তেমনই অঞ্জুর সঙ্গে পাকিস্তানের এক যুবকের আলাপ হয় ফেসবুকের মাধ্য়মে। সেখান থেকেই প্রেম। গত সপ্তাহেই অঞ্জু বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে বের হন। জয়পুর যাওয়ার নাম করে তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে যান।
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের ভিওয়াড়ি জেলার বাসিন্দা অঞ্জু। সম্প্রতিই তিনি তাঁর স্বামীকে জানান যে কাজের সূত্রে জয়পুর যাচ্ছেন দিনকয়েকের জন্য। কিন্তু রবিবার তিনি সংবাদমাধ্য়ম থেকেই জানতে পারেন যে স্ত্রী জয়পুর নয়, পাকিস্তানে গিয়েছে। জানা যায়, অঞ্জু তাঁর ফেসবুকের বন্ধু নাসরুল্লাহের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় গিয়েছে।
অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ জানান, বিদেশে চাকরির আবেদনের জন্য ২০২০ সালে পাসপোর্ট তৈরি করেছিল অঞ্জু। স্ত্রী যে কয়েক মাস আগে ফেসবুকে আলাপ হওয়া এক যুবকের প্রেমে পড়েছে, সে কথাও জানতেন তিনি। তবুও তাঁর আশা, স্ত্রী তাঁর কাছেই ফিরে আসবে। অরবিন্দ জানান, জয়পুরের নাম করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন অঞ্জু। রবিবার অঞ্জু নিজেই ফোন করেন এবং জানান যে সে লাহোরে রয়েছে। দুই-তিনদিনের মধ্যে ফিরে আসবে।