Agra: বিয়ের পর ৪০ দিনেই টের পেলেন স্বামী কত ‘নোংরা’, বিচ্ছেদ চাইলেন স্ত্রী…

Agra: পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্রে গিয়ে স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ওই ব্যক্তির (স্বামী) সঙ্গে তাঁর একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তিনি এতটাই নোংরা স্বভাবের। স্বামী নোংরামি ছেড়ে দেবেন, স্বভাব পাল্টে ফেলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও, মহিলা এই বিয়েটা টিকিয়ে রাখতে একেবারেই রাজি নন। কিন্তু, কী নোংরামি করতেন তাঁর স্বামী?

Agra: বিয়ের পর ৪০ দিনেই টের পেলেন স্বামী কত 'নোংরা', বিচ্ছেদ চাইলেন স্ত্রী...
প্রতীকী ছবি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি)Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Sep 15, 2024 | 8:11 PM

আগ্রা: মাত্র ৪০ দিনেই চিনে নিলেন স্বামীর নোংরামি। আর তাই সরাসরি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করলেন উত্তর প্রদেশের আগ্রার এক মহিলা। শহরের পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্রে গিয়ে স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ওই ব্যক্তির (স্বামী) সঙ্গে তাঁর একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তিনি এতটাই নোংরা স্বভাবের। স্বামী নোংরামি ছেড়ে দেবেন, স্বভাব পাল্টে ফেলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও, মহিলা এই বিয়েটা টিকিয়ে রাখতে একেবারেই রাজি নন। কিন্তু, কী নোংরামি করতেন তাঁর স্বামী?

মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পর তিনি জানতে পেরেছেন তাঁর স্বামী প্রতিদিন স্নান করেন না। মহিলার দাবি, তিনি মাসে মাত্র একবার কি দুবার স্নান করেন। ফলে, তার শরীর থেকে খুব খারাপ গন্ধ আসে। পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্রে তিনি অভিযোগ করেছেন, এই রকম খারাপ স্বাস্থ্যবিধি যাঁর, তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর অভিযোগের পর, অভিযুক্ত স্বামীকেও ডেকে পাঠিয়েছিলেন পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্রের কর্তারা। স্বামীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তাঁর উত্তর শুনে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। মহিলার স্বামী বলেছেন, তিনি সাধারণত মাসে এক-দুবার স্নান করেন। আর সপ্তাহে একবার করে শরীরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে নেন। তবে, বিয়ের পর গত ৪০ দিনে, স্ত্রীর জেদের কারণে তাঁকে ছয়বার স্নান করতে হয়েছে।

পারিবারিক কেন্দ্রের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পরই এই স্নান না করা নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক শুরু হয়েছিল। এরপরই ওই মহিলাটি তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে আসেন। পরবর্তী সময়ে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, ওই মহিলাকে যৌতুকের জন্য হেনস্থা করা হত। সেই সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করে তারা। পুলিশের সাথে আলোচনার পর, স্বামী তাঁর স্বাস্থ্যবিধি বদলে প্রতিদিন স্নান করতে রাজি হয়েছেন। তবে তাঁর স্ত্রী আর তাঁর সঙ্গে এক মুহূর্তও থাকতে রাজি হননি। এই দম্পতিকে ফের ২২ সেপ্টেম্বর কাউন্সেলিং সেন্টারে আসতে বলা হয়েছে।