Air India Crash: কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বন্ধ ইঞ্জিন, এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনা নিয়ে ১৫ পাতার রিপোর্টে যা উঠে এল…
Air India Crash Report: শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬০ জনের। ঘটনার এক মাস পর সামনে এল প্রাথমিক রিপোর্ট।

নয়া দিল্লি: সামনে এল এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ দুর্ঘটনার রিপোর্ট। গত ১২ জুন আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ১৫ পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করল এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। প্রাথমিক ওই রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, বিমানটি ওড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এক সেকেন্ডের তফাতে পরপর বন্ধ হয়ে যায় ১ ও ২ নম্বর ইঞ্জিন।
জানা গিয়েছে, দুটি ইঞ্জিনেরই ফুয়েলের সুইচ RUN থেকে CUTOFF হয়ে যায় কয়ে মুহূর্তের মধ্যেই। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ‘লস অব থ্রাস্ট’ নজরে আসে, অর্থাৎ মাটি থেকে আকাশে ওড়ার জন্য যথেষ্ট ‘ফোর্স’ পায়নি ইঞ্জিন। সেটা কিছুক্ষণের মধ্যে সামলানো গেলেও শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা আটকানো যায়নি।
প্রাথমিকভাবে সবটা খতিয়ে দেখে যা উঠে এসেছে, তাতে বিমানটি ওড়ার পর ১৮০ নটস গতিতে পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু ফুয়েল সুইচ ‘কাট অফ’ হয়ে যায়, জ্বালানি সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইঞ্জিন দুটি বন্ধ হয়ে যায়।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে ধ্বংসস্তূপ থেকে ইতিমধ্যেই দুটি ইঞ্জিন উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি এয়ারপোর্টের হ্যাঙ্গারে রাখা হয়েছে। এছাড়া যে এলাকায় ভেঙে পড়েছিল বিমানটি, সেখানকার ছবি ও ভিডিয়োও সংগ্রহ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এয়ারপোর্টের প্রাচীর পার করার আগেই নীচের দিকে নামতে শুরু করে বিমানটি। বিমানের সামনে কোনও পাখির উপস্থিতি চোখে পড়েনি, ফলে পাখির ধাক্কার সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখনও অনুসন্ধান চলছে। বেশ কিছু অংশ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া বিমানের এক্সটেন্ডেড এয়ারফ্রেম ফ্লাইট রেকর্ডার (EAFR) এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
