নয়া দিল্লি: দীর্ঘ দুই বছর পর ফের স্বাভাবিক হল আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা (International Flight)। করোনা সংক্রমণের (COVID-19) কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ হয়েছিল আন্তর্জাতিক বিমানের ওঠানামা। এরপরে সংক্রমণের ওঠানামার সঙ্গেই তাল মিলিয়েই নির্দিষ্ট সংখ্যায় ও বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে চলাচল করছিল বিমান। বর্তমানে সংক্রমণ কমতেই এয়ার বাবল (Air Bubble) চুক্তির বাইরেও স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার সুবিধা চালু করা হল। আর আন্তর্জাতিক বিমান চালু হতেই প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি টিকিটের দাম কমবে?
করোনা সংক্রমণের জেরে ভিনদেশে আটকে পড়া নাগরিকদের ফেরাতেই শুরু করা হয়েছিল এয়ার বাবল চুক্তি। এই চুক্তির অধীনে থাকা দেশগুলি যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনেই নিজেদের দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু করে। এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে থাকা দেশগুলিতে প্রতি সপ্তাহে ২০০০টি বিমান ওঠানামার নির্দেশ দেওয়া ছিল। বিমানের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় টিকিটের দামও আকাশছোঁয়া ছিল।
তবে কেন্দ্রের তরফে ফের একবার আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা জানাতেই বিমানের টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। জানা গিয়েছে, এই গ্রীষ্মকালেই ৪০টি দেশ থেকে প্রায় ৬০টি এয়ারলাইন্স বা উড়ানসংস্থা ভারতে বিমান চলাচল করাতে পারবে। আগামী ২৯ অক্টোবর অবধি এই নিয়ম কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
উড়ান শিল্প বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বিমানের পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায়, এবার যাত্রীদের খরচ কিছুটা কমতেব পারে। বিমানের সংখ্যা বাড়ায়, যাত্রীদের কাছে একাধিক অপশন থাকবে, ফলে টিকিটের দামও স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমবে। তবে এক্ষেত্রে চিন্তা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। ইউক্রেনের উপরে হামলা চালানোয় পশ্চিমী দেশগুলি কার্যত রাশিয়াকে বয়কট করেছে। এরফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। বাড়ছে বিমানের জ্বালানির দামও।
জেট এয়ারওয়েজের সিইও সঞ্জীব কাপুর এই বিষয়ে বলেন, “যখনই বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, টিকিটের দামও আপনাআপনি কমতে শুরু করে। এই সময়ও বিমানের টিকিটের দাম কমারই সম্ভাবনা প্রবল, তবে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, যার জেরে জ্বালানি তেলের দামও বাড়ছে।”
ভ্রমণ সংস্থাগুলির তরফেও জানানো হয়েছে, প্রতিটি ওয়েবসাইটেই বিমানের টিকিটের খোঁজ খবর বা সার্চ বেড়েছে। দীর্ঘ দুই বছর করোনা স্ংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে ঘরবন্দি থাকার পর সকলেই এখন ঘুরতে যেতে চাইছেন।