নয়া দিল্লি: বারবার খবরের শিরোনামে আসে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। রাজধানীর বুকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমনই অভিযোগ করেছেন জেএনইউএসইউ সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে তাঁর মূলত ৩ অভিযোগ। এক, হোলির দিন নগ্ন হয়ে জেএনইউ ক্যাম্পাসে কটূক্তি করেছেন কয়েকজন ব্যক্তি। দুই, গত ১৭ ও ২৭ এপ্রিল তাপতি হোস্টেলে মহিলাদের হয়রানি। তিন, মত্তরা জেএনইউ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের ধাওয়া করছে।
এই প্রেক্ষিতে আইসিসি (ICC) দিয়ে জিএসকেসের (GSCASH) অপসারণের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন ঐশী। ছাত্রনেত্রী যে অভিযোগ করছেন, সেই একই অভিযোগ জেএনইউ পড়ুয়াদেরও। সেখানকার পড়ুয়ারা প্রশ্ন করছেন, কীভাবে জেএনইউর নিরাপত্তা টপকে বহিরাগতরা মত্ত অবস্থায় এসে ছাত্রীদের কটূক্তি করতে পারে? জেএনইউ ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানির খবর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু ঐশীর এই অভিযোগ তা আরও জোরাল করল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
জেএনইউ ক্যাম্পাসে ১৯৯০ সালের শেষের দিকে এসএফআই নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংসদ যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিএসকেস গড়ে ওঠে। যে কোনও যৌন হয়রানির ক্ষেত্রেই ছাত্র-ছাত্রীরা এই সংগঠনের কাছে এসে অভিযোগ জানাতে পারত। এই কমিটিতে নির্বাচিত ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি থাকতেন। জিএসকেস শুধুমাত্র পড়ুয়াদেরই নয়, শিক্ষক ও কর্মীদেরও যৌন হয়রানির বিষয়ে ব্যবস্থা নিত। ঐশীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে উপাচার্য আসার পর জিএসকেস তুলে দেওয়ার প্রস্তাব আসে। এরপর ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্মতি না নিয়েই জিএসকেসের বদলে আইসিসি আসে। আইসিসিতে মনোনীত সদস্যরা থাকেন, সেখানেই আপত্তি ছিল জেএনইউ ছাত্র সংসদের। কারণ, আইসিসিতে নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা মাত্র ১। গত এক-দেড় বছর ধরে সেই নির্বাচনও হয়নি। ফলে আইসিসিতে এখন ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নেই।
#JNU | জেএনইউতে যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমনই অভিযোগ করেছেন জেএনইউএসইউ সভানেত্রী ঐশী ঘোষ।
সব খবর সবার আগে: https://t.co/qlLoSyDMN9@aishe_ghosh | #AisheGhoshPost | #TV9Bangla pic.twitter.com/FbHo6DCtEL
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) June 20, 2021
আরও পড়ুন: জেএনইউর ‘প্রেমপত্র’ পেয়ে ঐশীর প্রশ্ন, ‘এত দেরি কেন?’
ঐশী বলেন, “কোনও মহিলা আইসিসিতে অভিযোগ জমা করলে উল্টে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে তুমি ছেলেদের ঘরে কেন গিয়েছ? কেন এই ধরনের জামা পরেছ?” তাঁর দাবি, প্রত্যেক ক্ষেত্রে উল্টে মেয়েদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, উপাচার্য এমন অভিযুক্তের সঙ্গে ওঠাবসা করছেন, যে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত। তাই গত ২-৩ বছর ধরে এই যৌন হয়রানির ঘটনা ও সেই আবহে ফের জিএসকেসের দাবি করছে জেএনইউর ছাত্র সংসদ।
আরও পড়ুন: ‘আমিই সরকার, আমিই দশ, আমিই দেশ, ইজ ইক্যুয়াল টু মোদীজী’
নয়া দিল্লি: বারবার খবরের শিরোনামে আসে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। রাজধানীর বুকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমনই অভিযোগ করেছেন জেএনইউএসইউ সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে তাঁর মূলত ৩ অভিযোগ। এক, হোলির দিন নগ্ন হয়ে জেএনইউ ক্যাম্পাসে কটূক্তি করেছেন কয়েকজন ব্যক্তি। দুই, গত ১৭ ও ২৭ এপ্রিল তাপতি হোস্টেলে মহিলাদের হয়রানি। তিন, মত্তরা জেএনইউ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের ধাওয়া করছে।
এই প্রেক্ষিতে আইসিসি (ICC) দিয়ে জিএসকেসের (GSCASH) অপসারণের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন ঐশী। ছাত্রনেত্রী যে অভিযোগ করছেন, সেই একই অভিযোগ জেএনইউ পড়ুয়াদেরও। সেখানকার পড়ুয়ারা প্রশ্ন করছেন, কীভাবে জেএনইউর নিরাপত্তা টপকে বহিরাগতরা মত্ত অবস্থায় এসে ছাত্রীদের কটূক্তি করতে পারে? জেএনইউ ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানির খবর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু ঐশীর এই অভিযোগ তা আরও জোরাল করল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
জেএনইউ ক্যাম্পাসে ১৯৯০ সালের শেষের দিকে এসএফআই নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংসদ যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিএসকেস গড়ে ওঠে। যে কোনও যৌন হয়রানির ক্ষেত্রেই ছাত্র-ছাত্রীরা এই সংগঠনের কাছে এসে অভিযোগ জানাতে পারত। এই কমিটিতে নির্বাচিত ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি থাকতেন। জিএসকেস শুধুমাত্র পড়ুয়াদেরই নয়, শিক্ষক ও কর্মীদেরও যৌন হয়রানির বিষয়ে ব্যবস্থা নিত। ঐশীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে উপাচার্য আসার পর জিএসকেস তুলে দেওয়ার প্রস্তাব আসে। এরপর ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্মতি না নিয়েই জিএসকেসের বদলে আইসিসি আসে। আইসিসিতে মনোনীত সদস্যরা থাকেন, সেখানেই আপত্তি ছিল জেএনইউ ছাত্র সংসদের। কারণ, আইসিসিতে নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা মাত্র ১। গত এক-দেড় বছর ধরে সেই নির্বাচনও হয়নি। ফলে আইসিসিতে এখন ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নেই।
#JNU | জেএনইউতে যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমনই অভিযোগ করেছেন জেএনইউএসইউ সভানেত্রী ঐশী ঘোষ।
সব খবর সবার আগে: https://t.co/qlLoSyDMN9@aishe_ghosh | #AisheGhoshPost | #TV9Bangla pic.twitter.com/FbHo6DCtEL
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) June 20, 2021
আরও পড়ুন: জেএনইউর ‘প্রেমপত্র’ পেয়ে ঐশীর প্রশ্ন, ‘এত দেরি কেন?’
ঐশী বলেন, “কোনও মহিলা আইসিসিতে অভিযোগ জমা করলে উল্টে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে তুমি ছেলেদের ঘরে কেন গিয়েছ? কেন এই ধরনের জামা পরেছ?” তাঁর দাবি, প্রত্যেক ক্ষেত্রে উল্টে মেয়েদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, উপাচার্য এমন অভিযুক্তের সঙ্গে ওঠাবসা করছেন, যে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত। তাই গত ২-৩ বছর ধরে এই যৌন হয়রানির ঘটনা ও সেই আবহে ফের জিএসকেসের দাবি করছে জেএনইউর ছাত্র সংসদ।
আরও পড়ুন: ‘আমিই সরকার, আমিই দশ, আমিই দেশ, ইজ ইক্যুয়াল টু মোদীজী’