নয়া দিল্লি: কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঠিক তার আগে, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি), তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র অজয় মাকেন জানিয়েছেন, এমনকি তাদের যুব শাখা, যুব কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করে দিয়েছে আয়কর বিভাগ। জাতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ২১০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ এনে আয়কর বিভাগ এই পদক্ষেপ করেছে বলে জানা গিয়েছে। অজয় মাকেন এই পদক্ষেপকে ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর ভয়ঙ্কর আঘাত’ বলেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দলের নির্বাচনী প্রস্তুতিকে ব্যাহত করার জন্যই করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই এক ঐতিহাসিক রায়ে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক তার পরদিনই এই অভিযোগ করল জাতীয় কংগ্রেস।
এদিন, এক সাংবাদিক সম্মেলন করে অজয় মাকেন বলেন, “এই মুহুর্তে আমাদের কাছে খরচ করার মতো কোনও টাকা নেই। বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছি না, আমাদের কর্মীদের বেতন দিতে পারছি না। দলের সবকিছুর উপর এর প্রভাব পড়বে। এর ফলে, শুধুমাত্র ন্যায় যাত্রা নয় দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষতি হবে। আমরা গতকাল জানতে পারি, আমরা যে চেক দিচ্ছি, ব্যাঙ্কগুলিতে তা ভাঙানো যাচ্ছে না। আরও খোঁজ খবর নিয়ে আমরা জানতে পারি, যুব কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কংগ্রেস পার্টির অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ যুব কংগ্রেস এবং কংগ্রেস পার্টির কাছ থেকে ২১০ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল। এরপরই, জনগণ আমাদের যে অনুদান দিয়েছেন, সেই টাকা ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে, বিরোধীদের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা, গণতন্ত্রকে ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার সমান।”
অজয় মাকেন এই অভিযোগ করার পরই, ট্যাক্স ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করার উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। কংগ্রেস নেতা বিবেক তানখা অবশ্য বলেছেন, তাঁরা আবেদন করার পরই আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনাল তাঁদের দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খুলে দিয়েছে। আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হয়ে বিবেক তানখা জানান, কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি যদি ফ্রিজ করা থাকে, তবে তারা গণতন্ত্রের উত্সবে অংশ নিতে পারবে না। এরপরই, কংগ্রেসকে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, আগামী বুধবার ট্রাইব্যুনাল এই মামলার শুনানি করবে।