নয়া দিল্লি: নেহাতই উত্তর ২৪ পরগনার একটা ছোট গ্রামাঞ্চলে আর আটকে নেই অশান্তি আগুন। সেই আঁচ পৌঁছেছে দিল্লি পর্যন্ত। এবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সন্দেশখালি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা উল্লেখ করা হয়েছে। দ্রুত শুনানির আবেদন জানান আইনজীবী। আবেদন পড়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে সন্দেশখালি নিয়ে। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরই পুরো সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়। পরে কয়েকটি জায়গায় ফের জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
গত সপ্তাহে মহিলাদের হাত ধরেই বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করে সন্দেশখালিতে। হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন মহিলারা। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করে গোটা সন্দেশখালি। বাইরে বেরিয়ে পড়ে জমতে থাকা ক্ষোভের আগুন। গ্রামবাসীরা বলেন, দিনের পর দিন তাঁদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে নাকি পাঠিয়ে দেওয়া হত শিবু হাজরার কাছে।
এই সেই ইস্যুতেই দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। সুপ্রিম কোর্টে ওই জনস্বার্থ মামলায় আবেদন করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই বা সিট গঠন করে তদন্ত করা হোক। দ্বিতীয় দাবি হল, মনিপুরের মতো সন্দেশখালিতেও তিন বিচারপতির কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হোক। ক্ষতিগ্রস্তদের যাতে রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আবেদন জানানো হয়েছে, পুলিশ এবং প্রশাসনের যে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শুক্রবারই সন্দেশখালি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। ওই এলাকার পরিস্থিতি দেখে দ্রুত সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলে আর্জি। মামলা দায়ের করার অনুমতি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।