Delhi Hospitals on High Alert: ওমিক্রনের উদ্বেগের মধ্যেই রাজধানীর সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
Delhi Hospitals: আগেভাগে সতর্ক থাকছে দিল্লি। সূত্রের খবর, দিল্লির সমস্ত হাসপাতালগুলিকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। করোনার যাবতীয় সুরক্ষাবিধি নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিকে।
নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছিল রাজধানী। হাসপাতালে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল প্রাণবায়ুর জন্য। কোথাও কয়েক ঘণ্টা, কোথাও আবার আরও কম সময়ের জন্য অক্সিজেন বাকি ছিল। সেই ভয়াবহতা আজও দিল্লিবাসীর মন থেকে মুছে যায়নি। আর এরই মধ্য়ে আবার করোনার নতুন স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ওমিক্রন। বলা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত যে ক’টি স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এটি সবথেকে দ্রুত ছড়ায়। এবার তাই আগেভাগে সতর্ক থাকছে দিল্লি। সূত্রের খবর, দিল্লির সমস্ত হাসপাতালগুলিকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। করোনার যাবতীয় সুরক্ষাবিধি নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিকে।
সূত্রের খবর, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল মুখ্য সচিব, পুলিশ কমিশনার এবং দিল্লির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনও জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য সর্বজনীন স্থানে এবং কোনও অনুষ্ঠানে সমস্ত কোভিড প্রোটোকল কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে এবং হাসপাতালগুলিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে হবে।
দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে। ইতিমধ্যে একাধিক দেশের করোনা এই নতুন স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া যেতে শুরু করেছে। তাই দেরি না করে ভারতেও ওমিক্রনের মোকাবিলার জন্য কী করা হবে, সেই পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই বৈঠকে দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবোয়ে এবং হংকং থেকে আসা যাত্রীদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা এবং তাদের কোয়ারেন্টাইন করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অনুরোধ করেছেন, করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের হদিশ যে দেশগুলিতে পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
এদিকে আজই কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে করোনা পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে এবং বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করার যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলিকে পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সজাগ থাকার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে যে দেশগুলিকে ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করানোর ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে টিকাকরণের গতি এবং ‘হর ঘর দস্তক’ প্রকল্পের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ়ের কভারেজ আরও বাড়ানো দরকার। কেউ যাতে বাদ না যান, সেই বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকেও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যারা প্রথম ডোজ় পেয়েছেন, তাঁদের সময়মতো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে কি না।