BBC tax survey: ‘আইন মানতেই হবে’, ‘বিবিসি’ প্রসঙ্গ তুলতেই ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রীকে জবাব জয়শঙ্করের

BBC tax survey: দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিবিসির কর সমীক্ষার প্রসঙ্গ তুললেন ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী। কী জবাব দিলেন এস জয়শঙ্কর?

BBC tax survey: 'আইন মানতেই হবে', 'বিবিসি' প্রসঙ্গ তুলতেই ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রীকে জবাব জয়শঙ্করের
ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী জেম্স ক্লেভারলি এবং এস জয়শঙ্কর (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2023 | 4:19 PM

নয়া দিল্লি: বিবিসি-র ভারতের একাধিক কার্যালয়ে আয়কর বিভাগের সমীক্ষা নিয়ে জল গড়ালো কূটনৈতিক স্তরে। বুধবার, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তুললেন ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী জেম্স ক্লেভারলি। বৈঠকের পর ক্লেভারলি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে সূত্রের খবর, এস জয়শঙ্কর তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সমস্ত সংস্থাকে অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে। এই বিষয়ে কারোর কোনও ছাড় নেই। সংস্থার নাম বিবিসি হলেও নয়। গত মাসে বিবিসির নয়া দিল্লি এবং মুম্বইয়ের কার্যালয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল আয়কর বিভাগ। টানা তিন দিন ধরে চলেছিল সেই সমীক্ষা। তারপর আয়কর বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের হিসাবের নথিতে অনেক ‘অসঙ্গতি’ রয়েছে।

এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, “আজ ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রী বিদেশমন্ত্রীর কাছে বিবিসির কর সমীক্ষার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তাকে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে ভারতে কর্মরত সমস্ত সংস্থাকে প্রাসঙ্গিক আইন এবং বিধানগুলি মেনে চলতেই হবে।” বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) জি২০-র বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক। তার আগে বুধবার জয়শঙ্কর এবং জেম্স ক্লেভারলি এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানেই জেম্স ক্লেভারলি বিবিসির দফতরে আকর বিভাগের সমীক্ষার প্রসঙ্গ তোলেন।

ক্লেভারলির সঙ্গে বৈঠকের পর জয়শঙ্কর টুইট করে জানান, এদিনের বৈঠকে তাঁদের সর্বশেষ বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলি, দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি, বিশেষ করে ইয়ং প্রফেশনাল স্কিমের পর্যালোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি এবং জি২০-র এজেন্ডা নিয়েও মত বিনিময় হয়েছে দুই বিদেশমন্ত্রীর।

গত সপ্তাহে বিবিসি এবং বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতাকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছিল ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে, বিবিসির ভারতীয় দফতরে ভারতীয় আয়কর বিভাগের সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ব্রিটেনের ফরেন, কমনওয়েল্থ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস বা এফসিডিও-র জুনিয়র মিনিস্টার জানান, ভারতের আয়কর বিভাগের তদন্ত চলাকালীন, সেই তদন্তের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার কোনও মন্তব্য করতে পারে না। তবে, ব্রিটিশ সরকারের মতে কোনও মজবুত গণতন্ত্রের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয় হল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতা।

এফসিডিও-র আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড রাটলি জানান, ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। তাই বিভিন্ন বিষয় নিয়েই ভারতের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার গঠনমূলক আলোচনা করতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা বিবিসির পক্ষে আছি। আমরা বিবিসিকে তহবিল দিই। আমরা চাই বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা থাকুক।”