এলাহাবাদ: প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানরা (Adult childrens) তাদের পছন্দের সঙ্গী নির্বাচন করতে পারবে। নিজেদের পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে লিভ-ইন (Live-in) করতে পারে বা বিয়েও (Marriage) করতে পারে। এই বিষয়ে বাবা, মা কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সঙ্গী নির্বাচন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুগ্ধ নগরের এক যুবক-যুবতী নির্বিঘ্নে একসঙ্গে থাকার অনুমতির আবেদন জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন। তাঁরা ভিন-ধর্মী এবং তাঁদের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যরা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছে না অভিযোগ করে পরিবারের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আর্জি জানান যুগল। এই মামলার শুনানিতেই আবেদনকারীদের আইনজীবী জানান, এই যুগল প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুজনেই স্বেচ্ছায় লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু, দুজনের পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছে না, এমনকি ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিচ্ছে বলেও আদালতে জানান আইনজীবী। তাই নির্বিঘ্নে থাকার অনুমতির আবেদন জানিয়ে তাঁদের সম্পর্কের মাঝে পরিবারের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার ব্যাপারে আদালতের কাছে আবেদন জানান যুগল। তাঁরা নিরাপত্তা চেয়েও আবেদন জানিয়েছেন।
যুগলের এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিশেষ পর্যবেক্ষণ জানায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই যুগলকে শান্তিপূর্ণভাবে লিভ-ইন থাকার ব্যাপারে পরিবার কোনও বাধা দিতে পারে না বলে রায় দেন বিচারপতি সুরেন্দ্র সিং রায়। এরপরই বিচারপতি জানান, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তার পছন্দের সঙ্গী নির্বাচন করতে পারে। তার সঙ্গে বিয়ে করতে পারে অথবা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। এব্যাপারে তাদের বাবা, মা থেকে কেউ বাধা হতে পারে না। এমনকি আদালতও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানেরই সঙ্গী নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। এটা তাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।
প্রসঙ্গত, পরিবারের হুমকির মুখে পড়া ওই যুগল গত ৪ অগস্ট স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানিয়ে নিরাপত্তার দাবি জানান। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয় বলে অভিযোগ। তারপরই তাঁরা এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।