হলুদ নিয়ে ৪ হাজার বছরের পুরনো বিদ্যা চুরি করতে চেয়েছিল আমেরিকা, তারপরই মুখে ঝামা ঘষে দিল ভারত!
Knowledge Of Turmeric: আমেরিকার পেটেন্ট অফিস 'US5401504' রেজিস্ট্রেশনের অধীনে সেই দুই বিজ্ঞানীকে পেটেন্ট দিয়েও দেয়। আর তারপরই শুরু হয় এক 'যুদ্ধ'।

জলে হলুদ দিয়ে গ্লোয়িং ওয়াটার এখন ট্রেন্ডে রয়েছে। কিন্তু জানেন কি একবার আমেরিকা আমাদের দেশ থেকে হলুদই চুরি করে নিয়েছিল। সময়টা ১৯৯৫। আমেরিকার দুই বিজ্ঞানী হলুদের মাধ্যমে কোনও ক্ষতস্থান সারিয়ে তোলা নিয়ে একটা পেটেন্টের আবেদন করে। আমেরিকার পেটেন্ট অফিস ‘US5401504’ রেজিস্ট্রেশনের অধীনে সেই দুই বিজ্ঞানীকে পেটেন্ট দিয়েও দেয়। আর তারপরই শুরু হয় এক ‘যুদ্ধ’।
দুই আমেরিকান বিজ্ঞানীকে এই পেটেন্ট দিয়ে দেওয়ার অর্থ হল হলুদের কোনও ব্যবহার করতে হলে ওই বিজ্ঞানীদের থেকে অনুমতি নিতে হবে। এবং তার বিনিময়ে ওই দুই বিজ্ঞানীকে অর্থও দিতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে তো ছোট থেকে ঔষধি হিসাবে হলুদের ব্যবহার আমরা দেখে আসছি। কেটে গেলে সেখানে চুন-হলুদ দেওয়া, বা কোনও ক্ষত স্থানে হলুদ বাটা দেওয়া। মুখ পরিষ্কার করতে মুখে হলুদ লাগানো, পেটের সমস্যাতে হলুদ খাওয়ার মতো বিষয়ের জন্য যদি আমেরিকার অনুমতি লাগে তাহলে তো ব্যাপারটা বেশ চিন্তার।
এমতাবস্থায় আসরে নামলেন Council of Scientific and Industrial Research বা CSIR-এর ডাইরেক্টর জেনারেল ডক্টর আরএ মাসেলকর। আর তিনি এই বিষয়ে শুরু করলেন একটি আইনি যুদ্ধ। তার পরের ১ বছরে ৩২টি নথির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন ভারতে হলুদ নিয়ে এই জ্ঞান প্রায় ৪ হাজার বছরের পুরনো। এর মধ্যে ছিল বিভিন্ন সংস্কৃত নথি, আয়ুর্বেদের বই, বিভিন্ন পুরনো জার্নাল। অবশেষে ১৯৯৭ সালে আমেরিকার পেটেন্ট অফিস এই পেটেন্ট রিজেক্ট করে দেয়।





