Haryana COVID Restrictions: সংক্রমণ নিয়ে ঝুঁকি নিতে নারাজ হরিয়ানা প্রশাসন, ৫ শহরে বন্ধ হল স্কুল, সিনেমা হল
Haryana COVID Restrictions: গুরুগ্রাম সহ মোট পাঁচটি শহরে বন্ধ করা হচ্ছে সিনেমা হল ও স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলি। আগামী ১২ জানুয়ারি অবধি এই শহরগুলিতে সমস্ত স্কুলও বন্ধ থাকবে।
গুরগাঁও: রাজ্যে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তকে মাথায় রেখেই হরিয়ানা(Haryana)-এ আরও কঠোর করা হল বিধিনিষেধ(COVID Restrictions)। শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, গুরুগ্রাম (Gurgaon) সহ মোট পাঁচটি শহরে বন্ধ করা হচ্ছে সিনেমা হল (Cinema Halls) ও স্পোর্টস কমপ্লেক্স(Sports Complex)-গুলি। আগামী ১২ জানুয়ারি অবধি এই শহরগুলিতে সমস্ত স্কুল(School)-ও বন্ধ থাকবে।
কোন কোন শহরে বিধিনিষেধ?
হরিয়ানা সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, অম্বালা, পঞ্চকুলা ও সোনিপতে এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই শহরগুলিতে সংক্রমণের হার সর্বাধিক হওয়ার কারণেই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ২ জানুয়ারি থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি অবধি এই বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
কী কী বন্ধ থাকবে?
রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১২ জানুয়ারি অবধি গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, অম্বালা, পঞ্চকুলা ও সোনিপতের সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। এছাড়াও সিনেমা হল, স্পোর্টস কমপ্লেক্সও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
এই পাঁচ শহরের বিভিন্ন শপিং মল ও মার্কেটগুলিকে বিকেল ৫টা অবধি খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বার, রেস্তরাঁগুলিতে কেবল ৫০ শতাংশ গ্রাহক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই জারি রয়েছে নৈশ কার্ফু। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি অবধি রাজ্যজুড়ে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা অবধি কার্ফু জারি রাখা হয়েছে। এই সময় কেবল জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়েছে, বাকি সমস্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সংক্রমণের কারণেই বিধিনিষেধ:
রাজ্য় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক শহরে ক্রমবর্ধমান করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণের কারণেই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। শুক্রবার হরিয়ানায় নতুন করে ২৬ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই নিয়ে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩-তে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপতরের বুলেটিন অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।ওমিক্রনের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণও।
টিকাকরণে বিশেষ জোর:
করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও কঠোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সবজি বাজার, পার্ক, ধর্মীয় স্থান, রেস্তরাঁ, গণপরিবহন সহ সমস্ত জায়গায় কেবলমাত্র টিকাপ্রাপ্তদেরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।
জরুরি বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী:
রাজ্যের করোনা ও ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। আজ বা আগামিকালই তিনি এই বৈঠকে বসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। আগামিদিনে আরও কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের সিদ্ধান্ত এই বৈঠকেই নেওয়া হতে পারে।