Amit Shah Chairs Meeting : NIA-ED যৌথ অভিযানের পরই শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ
Amit Shah Chairs Meeting : বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে এসডিপিআই ও পিএফআই সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে ইডি-এনআইএ। এই অভিযানে ১১ টি রাজ্য থেকে প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি : বৃহস্পতিবার দেশের ১৩ টি রাজ্যে জায়গায় পিএফআই-এসডিপিআই সদস্যদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান চালিয়েছে এনআইএ, ইডি ও রাজ্য পুলিশ। প্রায় ১১ রাজ্য থেকে ১০০ জনের বেশি পিএফআই সদস্য এবং এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। প্রমাণ ও এই দুই সংগঠনের গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে কী পদক্ষেপ হতে পারে সেই লক্ষ্য়েই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত এবং সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাতভর এই অভিযানে অংশ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য় পুলিশও। এসডিপিআই এবং পিএফআই- এই সংগঠন একাধিক সন্ত্রাসবাদী ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। মোট ১৩ টি রাজ্য়ে অভিযান চালানো হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, কেরল, কর্নাটক,তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্য।
এদিন অভিযান চালিয়ে ১১ টি রাজ্য থেকে ১০০-রও বেশি পিএফআই ও এসডিপিআই সদস্য ও এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কেরল থেকে সবথেকে বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। কেরল থেকে ২২ জন, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক থেকে ২০ জন করে, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৫ জন, অসম থেকে ৯, দিল্লি থেকে ৩, মধ্য প্রদেশ থেকে ৪, পুদুচেরি থেকে ৩, তামিলনাড়ু থেকে ১০, উত্তর প্রদেশ থেকে ৮, রাজস্থান থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (PFI) ও এই সংগঠনের রাজনৈতিক দল সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া (SDPI)-র সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্য করা, দেশবিরোধী অভিযানে লিপ্ত থাকা, সন্ত্রাসবাদীদের জন্য ট্রেনিং ক্যাম্পের আয়োজন করা এবং সাধারণ মানুষদের বুঝিয়ে এই নিজেদের সংগঠনে যোগদান করানোর মতো অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এই তদন্তে উঠে আসে, কাতার, কুয়েইত, তুরস্ক ও সৌদি আরবের মতো পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি থেকে সংগঠনের কাছে অবৈধভাবে অর্থ সাহায্য় আসে। তারপর থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নজরে ছিল এই সংগঠন। দেশজুড়ে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপই নয় যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে মৌলবাদী ভাবধারা তৈরি করতেও এই অর্থ ব্যবহার করা হত। এদিকে সম্প্রতি ১৮ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার বিভিন্ন প্রান্তে পিএফআই সদস্যদের একাধিক ডেরায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। তারপর বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযানে প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ-ইডি।