নয়া দিল্লি: শান্তিপূর্ণ মিছিলই রূপ নিয়েছিল রণক্ষেত্রের। কৃষকদের “তাণ্ডব”-র মোকাবিলা করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। ২৬ জানুয়ারি এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছিল রাজধানী তথা গোটা দেশ। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে (Tractor Rally) দিল্লি পুলিশের যে সমস্ত কর্মীরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দেখতে বৃহস্পতিবার দিল্লির দুটি হাসপাতালে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
গতকালই দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর মিছিলে অশান্তির ঘটনায় মোট ৩৯৪ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিলে রুট ভেঙে এগোতে বাধা দিলেই পুলিশের উপর চড়াও হয় আন্দোলনকারী কৃষকরা। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বহু পুলিশকর্মী আহত হন। লালকেল্লার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরাও ভাঙচুরের সময় কৃষকদের ছোড়া পাথর ও লাঠির আঘাতে আহত হন।
মিছিলে বিশৃঙ্খলার পরই সেদিন বিকেলে বিশেষ বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ তিনি আহত পুলিশকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যাবেন বলেও জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, দিল্লির সুশ্রুত ট্রমা সেন্টার ও তিরাথ রাম হাসপাতালে যাবেন তিনি। হাসপাতালে অসুস্থ পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দেখা করে অমিত শাহ বলেন, “আপনাদের সাহসিকতার জন্য আমরা গর্বিত অনুভূত করছি।” আহত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষ্যাতের একটি ভিডিয়োও টুইট করেন তিনি।
Meeting the injured Delhi Police personnel. We are proud of their courage and bravery. https://t.co/7ooTwEf06x
— Amit Shah (@AmitShah) January 28, 2021
আরও পড়ুন: সংসদের ক্যান্টিনে থাকছে না ভর্তুকি, ৬৫ টাকার মটন বিরিয়ানি এবার মিলবে ১৫০ টাকায়
গতকাল দিল্লি পুলিশের তরফে যে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়, তাতে পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব বলেন, “মিছিলের জন্য যে সমস্ত শর্তগুলি দেওয়া হয়েছিল, তা মানেননি কৃষকরা। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড শেষ হওয়ার পর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা অবধি পাঁচ হাজার ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল করার কথা ছিল কৃষকদের। কিন্তু তাঁরা নির্ধারিত সময়ের আগেই মিছিল শুরু করে এবং নির্ধারিত রুট ভেঙে অন্য পথে এগোনোর চেষ্টা করে।”
অন্যদিকে, প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারায় দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ দুটি সংগঠনও। গতকালই রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের তরফে ঘোষণা করা হয়, তাঁরা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন। সংগঠনের নেতাদের এই ঘোষণার পরই সীমান্তে খাটানো তাঁবু খুলতে থাকেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। রাতারাতি খালি হয়ে যায় হরিয়ানা সীমান্তের আন্দোলনস্থল।
আরও পড়ুন: চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই ধুন্ধুমার, শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ১০০