কী ঘটেছিল অ্যান্টিলিয়ার সামনে?

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর মুম্বইয়ে বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার সামনে থেকে একটি পরিত্যক্ত এসইউভি গাড়ি উদ্ধার করা হয়। গাড়ির ভিতর থেকে ২০টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে নামে মুম্বই পুলিশ। কিছুদিনের মধ্যেই মুম্বই পুলিশের কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পরমবীর সিংকে। এরপরই তিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন। সুপ্রিম কোর্ট অবধি মামলা গড়ায়। পরে এআইএ এই মামলার তদন্তভার নেয়।

কী দাবি অনিল দেশমুখের?

গত বছর ১ নভেম্বর অনিল দেশমুখ ইডির কাছে বয়ান দেন। এরপর বুধবার ফের ইডি অম্বানী কাণ্ড ও পরমবীর সিং সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনিল দেশমুখকে। সূত্রের খবর, অনিল দেশমুখ ইডিকে জানিয়েছেন অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে আটক করা ওই স্করপিও গাড়ি থেকে যে জিলেটিন স্টিক ও হুমকি চিঠি পাওয়া গিয়েছিল, তার পিছনে অনিল দেশমুখেরই হাত রয়েছে।

তিনি বলেন, “অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি ও মনসুখ হিরেনের খুনের পরই বিধান ভবনে পরমবীর সিংকে ডাকা হয়েছিল গোটা ঘটনার আপডেট জানতে। সেখানে অনেক শীর্ষ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিংয়ের সময় পরমবীর সিং অ্যান্টিলিয়ায় বোমাতঙ্ক ও মনসুখ হিরেনের খুনের তদন্তে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছিলেন। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই ওই দুটি ঘটনার তদন্ত মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা বা এটিএসের হাতে তুলে দিতে বলি।”

তিনি আরও বলেন, “কিছুদিন পরই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ওই ঘটনার ফের ব্রিফিং ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আমি, মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিব সীতারাম কুন্তে ও স্বরাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই ব্রিফিংয়ের সময়ও পরমবীর সিং ভুল তথ্য দিতে গিয়ে ধরা পড়েন। উনি সত্যি লুকোনোর চেষ্টা করছিলেন। ওই ব্রিফিংয়েই নজরে আসে যে পুলিশ কমিশনারের অফিসের একটি ইনোভা গাড়ি সচিন ভাজে ব্যবহার করেছিলেন। কয়েকদিন বাদেই এনআইএ গোটা ঘটনার তদন্তভার নেয়। ১৩ মার্চ সচিন ভাজেকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড যে পরমবীর সিং, তা বুঝতে পারা যায়। এরপরই আমি ও মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিই যে পরমবীর সিংকে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। সেই মতোই ওনাকে কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে মহারাষ্ট্রের হোমগার্ডের ডিজি পদে বদলি করা হয়। মুম্বই পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার সরিয়ে নিতেই পরমবীর সিং আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও পরে সংবাদ মাধ্যমের কাছে ওই চিঠি পাঠান।”