‘দেখান, কৃষি আইনে কোথায় লেখা মান্ডি বন্ধ হবে?’, অনুরাগের তোপ

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Feb 12, 2021 | 12:11 PM

প্রধানমন্ত্রীর সুরেই অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, "কৃষি আইন কার্যকর হওয়ার পরও দেশের মান্ডিগুলি চালু রয়েছে এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও দেওয়া হচ্ছে।"

দেখান, কৃষি আইনে কোথায় লেখা মান্ডি বন্ধ হবে?, অনুরাগের তোপ
বিধানসভায় অনুরাগ ঠাকুর। ছবি:রাজ্যসভা টিভি

Follow Us

নয়া দিল্লি: কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল দেশ। সংসদেও এই আইন ও কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সরকার পক্ষের আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীও ভাষণে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, “কৃষি আইন লাগু হওয়ার পরও দেশের মান্ডিগুলি চালু রয়েছে।” আজ রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও কড়া সুরেই বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করে বললেন, “নয়া আইনে মান্ডি (Mandi) ও এমএসপি (MSP) ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হবে, একথা কোথায় লেখা রয়েছে দেখান।”

আজ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) বলেন, “নতুন ও শক্তিশালী ভারত গড়ার আশাই দেখাচ্ছে এই বাজেট। এই বাজেট আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার উদ্দেশেই কাজ করবে। অর্থনৈতিক ও উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশকে পাওয়ার হাউস হিসাবে গড়ে তোলার জন্যই এই বাজেট আনা হয়েছে।”

এরপরই কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে তিনি কথা বলেন। কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের বিরোধিতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছি। কৃষি আইনও সেই পদক্ষেপেরই একটি অংশ। বিরোধীরা এই আইন নিয়ে বহু সমালোচনা করছে। আমি কংগ্রেস ও অন্যান্য নেতাদের চ্যালেঞ্জ করছি যে তাঁরা দেখাক নয়া কৃষি আইনে কোথায় লেখা রয়েছে যে আইন কার্যকর হলে মান্ডি ও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে। ভাল কাজ করতে গেলেই বিরোধীরা কেবল বাধা প্রয়োগ করে।”

আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রী ভীতু, ভারতের জমি চিনের হাতে তুলে দিয়েছেন’, লাদাখ ইস্যুতে বিস্ফোরক রাহুল

প্রধানমন্ত্রীর সুরেই অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কৃষি আইন কার্যকর হওয়ার পরও দেশের মান্ডিগুলি চালু রয়েছে এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও দেওয়া হচ্ছে।”

গতকালও অনুরাগ ঠাকুর সংসদে প্রশ্ন তোলেন, কংগ্রেসপন্থীরা গান্ধীজিকে ষড়যন্ত্রকারী বলছেন কিনা। সম্প্রতি রাজ্যসভার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “সমাজে নতুন শ্রেণির উৎপত্তি হয়েছে। এরা হল আন্দোলনজীবী। এক আন্দোলন থেকে আরেক আন্দোলনে লাফ দিতে দেশে ক্রমাগত আন্দোলন জিইয়ে রাখাই এদের কাজ।”

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাবেই কংগ্রেস সাংসদ কে সি বেণুগোপাল বলেন, “আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশ ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এই হিসাবে মহাত্মা গান্ধীকে সবথেকে বড় আন্দোলনজাবী বলা উচিত।” ওনার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “আমি আশা করিনি একজন কংগ্রেস সাংসদই মহাত্মা গান্ধীকে ষড়যন্ত্রকারী বলবেন। এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।”

আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মুছে ফেলতে হবে বিতর্কিত ‘কনটেন্ট’, মোদী সরকারের কড়া নজরে সোশ্যাল মিডিয়া

Next Article