৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মুছে ফেলতে হবে বিতর্কিত ‘কনটেন্ট’, মোদী সরকারের কড়া নজরে সোশ্যাল মিডিয়া

ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের নাম উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী

৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মুছে ফেলতে হবে বিতর্কিত 'কনটেন্ট', মোদী সরকারের কড়া নজরে সোশ্যাল মিডিয়া
সোশ্যাল, মিডিয়ার জন্য নিয়মাবলী তৈরি করল কেন্দ্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 12, 2021 | 12:18 AM

নয়া দিল্লি: টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বুধবারের বৈঠক যে খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি, তার প্রমাণ মিলেছে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের বক্তব্যে। বৃহস্পতিবার যেভাবে রাজ্যসভায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মন্ত্রী, তাতে স্পষ্ট যে এবার কড়া পদক্ষেপের পথে যেতে চলেছে মোদী সরকার। ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই, এবার সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য নিয়মাবলী তৈরি করে দিল কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার দেশের সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য এই নীতি-নিয়ম তৈরি করল সরকার। এই সব নিয়মে নজরদারি চালানোর জন্য একজন আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে কেন্দ্রের। তিনিই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট তৈরি করবেন। ২৪ ঘণ্টায় যে কোনও অভিযোগের জবাব দিতে হবে তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও জরুরি অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সচিব পর্যায়ের একজন আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হবে। যে কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘পর্যটক দলের ম্যানেজার’! রাজ্যের দেনা-পাওনা নিয়ে ফোঁস তৃণমূলের

নিয়মের খসড়ায় বলা হয়েছে, সব বিতর্কিত ‘কনটেন্ট’ সরিয়ে ফেলতে হবে বা অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে হবে। যদিও ওই নিয়মাবলীতে কোনও শাস্তির কথা বলা হয়নি তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কোন টা পোস্ট করা উচিৎ আর কোন টা উচিৎ নয়, সেই ব্যাপারে সতর্ক করা হবে। আদালত বা কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান নির্দেশ দিলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কনটেন্ট মুছে ফেলতে হবে। টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, লিঙ্কড-ইন সহ সব প্লাটফর্মই এই নিয়মের আওতায় পড়বে।

এ দিন রাজ্যসভায় এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ সাফ জানিয়েছিলেন যে ভারতে কাজ করতে গেলে ভারতের নিয়মই মেনে চলতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কেন্দ্রের নতুন গাইডলাইন তৈরি করার কথাও এদিন জানিয়েছিলেন তিনি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করার কথা বলেছিলেন। এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল সেই গাইডলাইন প্রকাশের খবর।

এ দিন তিনি সাফ বার্তা দিয়ে জানান যে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির নিজস্ব কিছু নিয়ম-কানুন আছে মানে এই নয় যে, তারা ভারতের আইন মানবে না। তাঁর কথায়, “এখানে ওসব চলবে না।” বুধবারই টুইটারের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের।