নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টেও আস্তানা বানিয়েছে করোনাভাইরাস(COVID-19)। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মচারীই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি না নিলে তড়িঘড়ি ফের অনলাইন শুনানির পথেই হাঁটল আদালত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একসঙ্গে একাধিক কর্মচারীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলতেই আদালত চত্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলছে স্যানিটাইজ়েশন প্রক্রিয়া।
গতবছর করোনা সংক্রমণের শুরুতেও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একাধিক বিচারপতি ও কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাড়িতে বসে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতে দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হতেই “হাইব্রিড মোডে” বিচার প্রক্রিয়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ আইনজীবীরা মামলার শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত থাকতে চান, নাকি বাড়ি থেকেই শুনানি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান, সেই সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নিতে পারবেন।
তবে এ দিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিচারপতি জানান, আদালতের অধিকাংশ কর্মীই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবল শনিবারই ৪৪ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতেই স্বশরীরে শুনানি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল আদালত।
শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এ বার থেকে বিচারপতিরা বাড়িতে বসেই বিচার প্রক্রিয়া (Online Hearing) পরিচালনা করবেন। আগে যেমন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করা হচ্ছিল। সেই পদ্ধতিই ফের একবার অনুসরণ করা হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা অবধি স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে না বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।