ভাঙল পুরনো সব রেকর্ড, একদিনেই আক্রান্ত ১,৬৮,৯১২!
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ১ হাজার ৯-এ দাঁড়িয়েছে।
নয়া দিল্লি: বিগত সাতদিনে ছয়বার নিজের তৈরি রেকর্ডই ভেঙেছে ভারত। তবে তা কোনও গর্বের বিষয় নয়, কারণ এই রেকর্ড দৈনিক করোনা সংক্রমণের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়াল ১ কোটি ৩৫ লাখে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশে করোনা সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ দেখা গিয়েছে, তাতে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে ১ কোটি ৩৫ লাখ আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা, তৃতীয় স্থানে ব্রাজিল। তবে যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আগামিদিনে প্রথম স্থানেও ভারত উঠে আসতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসক-গবেষকদের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ১ হাজার ৯। তবে চিন্তা বাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯-এ পৌঁছেছে।
আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা মহারাষ্ট্রে। গতবছরও সংক্রমণের শীর্ষে থাকা এই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের। চলতি সপ্তাহেই ক্যাবিনেট বৈঠকের পর রাজ্যজুড়ে লকডাউন জারি হতে পারে বলে আশঙ্কা।
অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতেও দৈনিক আক্রান্ত ১০ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১০ হাজার ৭৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাটেও একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৬৯ জন। বাকি দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্য, অর্থাৎ কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক ও অন্ধ্র প্রদেশেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
তবে সংক্রমণ বাড়তেই দেশে টিকাকরণের উপর আরও জোর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকা উৎসবের ডাক দিয়েছিলেন, যা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এবং চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল অবধি। টিকা উৎসবের প্রথমদিনেই দেশজুড়ে মোট ২৯ লাখ ৩৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ায় দেশে মোট টিকাকরণের সংখ্যা ১০ কোটি ৪৫ লাখের গণ্ডি পার করেছে। তবে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, দিল্লি, তেলঙ্গানা, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্য টিকার ঘাটতির অভিযোগ জানিয়েছে। শীঘ্রই কেন্দ্র টিকা না পাঠালে আগামী এক-দু’দিনের মধ্য়েই টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাবে বলে তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চরম গাফিলতি ৩ রাজ্যে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ খুঁজল কেন্দ্রীয় দল