Coal Crisis: একদিনের কয়লাও মজুত নেই! বিক্ষোভ বাড়তেই কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলছেন মুখ্যমন্ত্রীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Apr 30, 2022 | 5:16 AM

Coal Crisis: তাপমাত্রার পারদ চড়তে স্বাভাবিকভাবেই দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা মজুত না থাকায় বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে।

Coal Crisis: একদিনের কয়লাও মজুত নেই! বিক্ষোভ বাড়তেই কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলছেন মুখ্যমন্ত্রীরা
কয়লা পাচার কাণ্ড

Follow Us

নয়া দিল্লি: একদিকে যেখানে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ, সেখানেই দেশ জুড়ে দেখা দিয়েছে চরম বিদ্যুৎ সঙ্কটও (Power Outage)। বৃহস্পতিবার দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে, দুটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুত কয়লার ভান্ডার প্রায় শেষের পথে। ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিতে পারে। বিপর্যস্ত হতে পারে হাসপাতাল, মেট্রোর মতো জরুরি পরিষেবা। এদিন সকালেও ফের দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন (Satyendar Jain) জানান, গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে একদিনের বিদ্যুৎ সরবরাহের মতোও কয়লা (Coal) মজুত নেই। শহরজুড়ে বড়সড় ব্ল্যাকআউট (Black Out) হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল(Arvind Kejriwal)-ও জানিয়েছেন, গোটা দেশের অবস্থাই ভয়াবহ। দ্রুত কোনও একটা সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে হবে।

তাপমাত্রার পারদ চড়তে স্বাভাবিকভাবেই দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা মজুত না থাকায় বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এদিন সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান যে, কয়লা সঙ্কটের মাঝেও রাজ্য কোনওভাবে এতদিন পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, কিন্তু আমাদের দ্রুত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এই সমস্যার সমাধানের জন্য।

টুইট করে তিনি বলেন, “গোটা দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। আমাদের সকলকে একযোগে মিলিত হয়ে কোনও সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে হবে। এই পরিস্থিতির সমাধানের জন্য দ্রুত কোনও মজবুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত”। দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন জানিয়েছেন, গোটা দেশেই কয়লা সঙ্কট দেখা দিয়েছে এবং একাধিক জায়গায় মাত্র একদিনের কয়লা মজুত রয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ২১ দিনের কয়লা মজুত থাকা উচিত। রাজ্য-কেন্দ্রের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমাদের কাছে কোনও ব্যাকআপ নেই, কারণ বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে রাখা যায় না। আমাদের তরফে কোনও টাকা বকেয়া নেই। কেন্দ্রের উচিত কয়লার বরাদ্দ বাড়ানো।”

রাজস্থানেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও বেড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট একাধিক টুইটে কেন্দ্রকে দুষে বলেছেন, “রাজ্যের ১৬টি জেলায় তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কয়লা সরবরাহ করা হচ্ছে না। এরফলে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।”

তিনি আরও আর্জি জানিয়ে বলেন, “এটা জাতীয় সঙ্কট। আমি সকলকে একজোট হয়ে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার আর্জি জানাচ্ছি। বাড়িতে বা কর্মস্থলে প্রয়োজনীয় নয়, এমন ইলেকট্রিক সামগ্রী বন্ধ রাখুন। প্রয়োজন বুঝে বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন”। বিদ্যুৎ দফতরগুলির বাইরে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ দেখানোরও চরম সমালোচনা করে তিনি বলেন, “রাজ্যকে কয়লা সরবরাহ করার দায়িত্ব কেন্দ্রের। রাজ্য বিজেপির উচিত কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করা কেন তারা প্রয়োজন অনুযায়ী কয়লার জোগান দিতে পারছেন না।”

রাজ্যগুলিতে বিদ্যুৎ সঙ্কট মেটাতে রেলমন্ত্রকের তরফে মালগাড়ির যাতায়াতের জন্য একাধিক যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ মে অবধি মোট ৬৭০টি ট্রেন বাতিল হওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Passenger Train Cancel: চরম দুর্ভোগ যাত্রীদের, মালগাড়িকে ‘পথ’ ছাড়তে বাতিল হচ্ছে ৬০০-রও বেশি ট্রেন!

Next Article