লখনউ: শুক্রবার (৪ অগস্ট) সকাল ৭টায়, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শুরু হল বারাণসীর জ্ঞানব্যাপি মসজিদ চত্বরের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা। এদিন সকালেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার একটি দল মসজিদ চত্বরে পৌঁছে যায়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা। আর কাউকে মসজিদের কাছাকাছি ঘেঁসতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে এই সমীক্ষা বয়কট করেছে আঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। মসজিদ কমপ্লেক্সের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়কে তারা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আজ শুক্রবারই সেই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে যে কোনও প্রকার সমীক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল।
বৃহস্পতিবার, এএসআই-কে এই সমীক্ষা পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বারাণসী জেলা আদালতের আদেশই বহাল রেখেছে উচ্চ আদালত। আদালত জানিয়েছে, ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে’ এই পদক্ষেপটি প্রয়োজনীয়। এতে উভয় পক্ষই উপকৃত হবে। তবে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে মসজিদের ওজুখানায় সমীক্ষা চালানো যাবে না। এর আগে এই ওজুখানাতেই একটি কাঠামোকে ‘শিবলিঙ্গ’ বলে দাবি করেছিলেন হিন্দু আবেদনকারীরা।
সতেরোশ শতকে তৈরি করা হয়েছিল এই মসজিদ। তবে হিন্দুদের একাংশের দাবি, ওই এলাকায় আগে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। তার কাঠামোর উপরই এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। হিন্দু পক্ষের সোহনলাল আর্যর দাবি, এর আগের সমীক্ষায়, মসজিদ চত্বরে শিব ও পার্বতীর ভাস্কর্য, বিষ্ণুর বরাহ অবতারের র মূর্তি, ঘণ্টা, এবং ত্রিশূলের মতো উপাদান পাওয়া গিয়েছিল। যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ওই এলাকায় এর আগে একটি মন্দির ছিল। এই দাবির সত্যতা যাচাই করতেই বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা হচ্ছে।