Rhino: চোরাশিকার রোখায় বড় সাফল্য, ২০২২-এ শিকার হয়নি একটিও গণ্ডার, কীভাবে সম্ভব হল?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 04, 2023 | 6:32 AM

Himanta Biswa Sarma: অসম সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বেশি গণ্ডারের শিকার হয়েছিল ২০১৩ ও ২০১৪ সালে। বছরে কমপক্ষে ২৭টি গণ্ডারের হত্যা করেছিল পাচারকারীরা। ২০১৬ সালে ১৮টি গণ্ডারের শিকার করে চোরাচালানকারীরা।

Rhino: চোরাশিকার রোখায় বড় সাফল্য, ২০২২-এ শিকার হয়নি একটিও গণ্ডার, কীভাবে সম্ভব হল?
ফাইল চিত্র

Follow Us

গুয়াহাটি: বর্তমানে দেশে একশৃঙ্গ গণ্ডারের (One Horned Rhino) দেখা মেলে শুধু অসমেই (Assam)। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই পাচারকারী ও চোরাচালানকারীদের উপদ্রবে। বিনা অনুমতিতে জঙ্গলে প্রবেশ করে গণ্ডারদের হত্যা করে কোটি কোটি টাকা কামায় পাচারকারীরা। লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয় গণ্ডারের শিং। গণ্ডারের শিকার ও চোরাচালান রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলই এবার মিলল। অসম সরকারের তরফে জানানো হল, ২০২২ সালে একটিও একশৃঙ্গ গণ্ডার মারা পড়েনি। মঙ্গলবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) জানান, সশস্ত্র বাহিনী ও বনবিভাগের কর্মীদের কড়া নজরদারিতেই এই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। একইসঙ্গে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমেও অসম এই লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর তালিকায় একশৃঙ্গ গণ্ডারকে অন্তর্ভুক্ত করার পর থেকেই সরকারের তরফে গণ্ডার সংরক্ষণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সম্পূর্ণ সাফল্য মেলেনি কোনওটিতেই। মঙ্গলবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বিগত ২০ বছর বাদে এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, “হয়তো ২০-২৫ বছর বাদে অসমে গোটা বছরে একটিও গণ্ডারের শিকার হল না। শেষবার অসমে গণ্ডারের শিকার হয়েছিল ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, গোলাঘাট জেলার হিলাকুণ্ডায়।”

গণ্ডারের শৃঙ্গ ব্যবহার করে নানা ওষুধ তৈরি করা যায়, এই তত্ত্ব নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওষুধ প্রস্তুতিতে গণ্ডারের শৃঙ্গ ব্যবহার করার ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। গণ্ডারের শৃঙ্গের কোনও বিশেষ ঔষধি উপকারিতা নেই।” চোরাপাচারকারীদের কড়া বার্তা দেওয়ার জন্য ২০২১ সালে উদ্ধার হওয়া ২৪৯৭টি গণ্ডারের শৃঙ্গ জনসমক্ষে পুড়িয়ে দেওয়ার উদাহরণও টেনে আনেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুন মাসে অসম সরকারের তরফে ২২ সদস্যের একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয় পুলিশের স্পেশাল ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিংয়ের নেতৃত্বে। চোরাপাচারকারীদের রুখতে জঙ্গলগুলিতে সশস্ত্র কম্যান্ডো বাহিনীও পাঠানো হয়। গোলাঘাট, নাগাঁও, কারবি অ্যাংলং, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, দারাং, মোরিগাঁও, বাকসা, চিরাং, বরপেচা ও মাজুলি সহ মোট ১১টি জেলা, যেখানে সাধারণ ও একশৃঙ্গ গণ্ডারের বসবাস, সেখানের বন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও পুলিশ সুপারদেরও এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য বানানো হয়।

অসম সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বেশি গণ্ডারের শিকার হয়েছিল ২০১৩ ও ২০১৪ সালে। বছরে কমপক্ষে ২৭টি গণ্ডারের হত্যা করেছিল পাচারকারীরা। ২০১৬ সালে ১৮টি গণ্ডারের শিকার করে চোরাচালানকারীরা। এরপরই রাজ্য সরকার চোরাশিকার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং ধীরে ধীরে গণ্ডারের শিকার কমতে থাকে। ২০২১ সালে মাত্র ১টি গণ্ডারের শিকার করে চোরাচালানকারীরা।

উল্লেখ্য, অসমের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে বর্তমানে ২৬১৩টি গণ্ডারের বসবাস। বিগত কয়েক বছর ধরে গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ছে এই জাতীয় উদ্যানে।
Next Article